মাহসা আমিনির মৃত্যুবার্ষিকী: ইরানি জনগণকে সমর্থন বার্লিনের
- আপডেট সময় : ১১:৫৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৭২৫ বার পড়া হয়েছে
ইরানের নীতিপুলিশের হেফাজতে জিনা মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়৷ এরপর সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয় ইরানে৷ ঘটনার এক বছর উপলক্ষ্যে, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, বার্লিন ইরানের পাশে আছে৷ ইরানের জনগণ একা নয়৷
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক মাহসা আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর প্রাক্কালে ইরানের জনগণের সঙ্গে বার্লিনের সংহতি প্রকাশের অঙ্গীকার করলেন৷
২২ বছর বয়সি এই কুর্দি নারীকে ইরানের নীতিপুলিশ আটককরে৷ হিজাব ভুলভাবে পরার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে৷ ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়৷ এরপর ইরান সরকারের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে জমে থাকা ক্ষোভ চরম আকার নেয়৷ ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ এই তিনটি শব্দই বারবার শোনা গিয়েছে সেইসময় ইরানের প্রতিবাদী জনগণের স্লোগানে৷ নিরাপত্তা বাহিনী সহিংস দমন-পীড়ন চালায় প্রতিবাদকারীদের উপরে৷
বেয়ারবক বলেন, ‘‘ইরানের বিক্ষোভ খবরের শিরোনামথেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেও, আমরা ইরানের জনগণকে একা ফেলে রাখবো না৷ ব্রাসেলস, নিউইয়র্ক এবং জেনেভাতে ইরানের জনগণের ভাগ্য নির্ধারণের বিষয়টিকে এজেন্ডায় রাখব৷”
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইইউ ইরানি কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় নথিভুক্ত করছে যাতে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা যায়৷
অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, ইরানে বিক্ষোভকারীদেরউপর দমন-পীড়নে ৫০০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা মন ভেঙে দিয়েছিলো আমাদের৷ আমরা বাইরে থেকে ইরানের পরিস্থিতির বদল করতে পারব না, তবে ইরানের জনগণের ‘স্বর’ হয়ে উঠতে পিছপা হব না৷”
নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা
ইইউ শুক্রবার তার নিষেধাজ্ঞার কালো তালিকায় রেভোলিউশনারি গার্ডের একজন কমান্ডারসহ চার ইরানি কর্মকর্তাকে যুক্ত করেছে৷ দমন-পীড়নে ভূমিকা রাখার অভিযোগে ইতিমধ্যে প্রায় ১৭০টি ইরানি কোম্পানি এবং সংস্থার উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পদ জব্দ করে ইইউ৷
চারটি সংশোধনাগার, রেভোলিউশনারি গার্ডের সঙ্গে যুক্ত একটি সংবাদ সংস্থা এবং ইন্টারনেটের উপর নজরদারি করা সুপ্রিম কাউন্সিল অফ সাইবারস্পেসকেও কালো তালিকায় রাখা হয়৷
এক বিবৃতিতে ইইউ সদস্য দেশগুলি বলেছে, ‘‘ইরানের নারী ও পুরুষদের মৌলিক অধিকারের প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করছে৷”
ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াও শুক্রবার ইরানি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ‘‘ইরানের সবচেয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কয়েকটা” শাস্তি দেয়া৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের দমন-পীড়নের সঙ্গে যুক্ত দুই ডজনেরও বেশি ব্যক্তি এবং সংস্থাকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে৷
বাইডেন একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ইরানের জনগণ একাই নিজেরা দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে৷ তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷”
ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ