পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামে
- আপডেট সময় : ১২:০৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৯৫১ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। পাকিস্তান থেকে আসা হুজুর আল্লামা পীর সৈয়দ মোহাম্মদ সাবির শাহের নেতৃত্বে জুলুসে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। ধর্মপ্রাণ মানুষ জানান, বিশ্বনবীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তার জন্মদিনে শান্তি ও অসাম্প্রদায়িক পৃথিবী নির্মাণের লক্ষ্য অর্জনই তাদের প্রত্যাশা। জুলুসের আগে মুসলিম বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ, হানাহানি বন্ধসহ মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সচ্ছ কাঁচে ঘেরা বিশেষ যানবাহনে চেপে সকাল সাড়ে ন’টায় ষোলশহর আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের মাদ্রাসা থেকে বের হন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ। এসময় নানান ধর্মীয় স্লোগানে আশপাশ মুখরিত করে রাখেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। এর আগেই চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আশা নবীপাগল লাখো মানুষ অবস্থান নেন বন্দর নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে। কেউ কেউ ওঠেন ভবনের ছাদে কিম্বা ফ্লাইওভারের ওপরে। বলেন মহানবীর জন্মদিনে খুশি উদযাপন করতেই এসেছেন তারা।
হুজুর কেবলাকে বহন করা গাড়িটি মাঝে রেখে জুলুস এগোতে থাকে সামনের দিকে। সময় যত বাড়ে জুলুসের আকারও ততই বড় হতে থাকে। জুলুসে অংশ নেয়া সাধারন মানুষের প্রত্যাশা ঈদে মিলাদুন্নবীকে উপলক্ষ্য করে বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতা কেটে যাওয়ার পাশাপাশি সব ধর্ম বর্ণের মানুষের জন্য নিরাপদে বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠবে পৃথিবী।
আয়োজকরা জানান, এবারের জুলুসে অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অন্তত ৫০ লাখ মানুষ।
জুলুস শুরু আগে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের শান্তী কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ।
সট: আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ, পীর।
মুরাদপুর থেকে বের হওয়া জুলুসটি চকবাজার, কাজিরদেউরী, ওয়াসা, জিইসি, ষোলশহর হয়ে ফের মুরাদপুরে এসে শেষ
আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর এই জসনে জুলুসের আয়োজন করে আসছে। ধীরে ধীরে যা চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। ফুটেজ-১ ও ফুটেজ-২
সোহাগ কুমার বিশ্বাস, এসএটিভি, চট্টগ্রাম।