সোনা চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর
- আপডেট সময় : ০৫:০৫:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৮৪৪ বার পড়া হয়েছে
সোনা চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর । প্রায়ই অভিযানে ধরা পড়ছে বাহকসহ সোনার চালান। তবে সোনার চলান না দেখেই মামলার অভিযোগপত্র দিচ্ছেন তদন্তকর্মকর্তা । জব্দকৃত আলামত সোনা চালান কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ছাড়া আর কেউই দেখছেন না। গত ৯ বছরে ১৮টি মামলার তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ। আলামত না দেখে তদন্ত শেষ করার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
সিলেট বিমানবন্দর থানায় ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৯টি মামলা হয়েছে সোনা চোরাচালান নিয়ে । এর মধ্যে ১৭টির চার্জশিট ও একটি মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে পুলিশ। বাকী একটি মামলা তদন্তাধীন ।এ সব মামলায় ৪৫ কেজি ৭০৮ গ্রামের মতো সোনা জব্দ করা হয় আরআসামী করা হয় নারীসহ ২১ জনকে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জব্দ করা সোনার মোট দাম ২৫ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৭শ টাকা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা কখনোই জব্দকৃত আলামত সোনা চোখে দেখেন নি। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে সোনা জমা দেওয়া হয় সেখানকার কর্মকর্তারাও তা দেখেন না । তারা কাস্টমস প্রেরিত সিলগালা করা বক্স রিসিভ করেন। আলামত না দেখে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা নৈতিকতা বিরোধী ও আইনের লঙ্ঘন বলে জানান এই আইনজীবী। এদিকে কাস্টমস ছাড়া আর কেউই জব্দকৃত সোনা দেখতে পারেন না- এর সাথে ভিন্নমত কাস্টমস কমিশনারের। সোনা চোরাচালানের মতো স্পর্শকাতর মামলাগুলোকে আরো সতর্কভাবে পরিচালনা না করলে বিপত্তি বাড়তে পারে- এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।