খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারী ভাবে দেওয়া হয়েছে ‘স্বয়ংক্রিয় অ্যাপেরেসিস মেশিন’
- আপডেট সময় : ০২:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৭১৯ বার পড়া হয়েছে
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১২ জেলার মানুষের উন্নত চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারী ভাবে দেওয়া হয়েছে ‘স্বয়ংক্রিয় অ্যাপেরেসিস মেশিন।যার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া, লিউকোমিয়া,ডেঙ্গুগুসহ একাধিক জটিল রোগ নির্ণয় ও রক্ত পরিশোধন করে রোগীদের উন্নত ও নিরাপদ পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা দিতে পারবেন বলছেন, চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জটিল রোগ নির্ণয়ে ২২ বছর আগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বসানো হয় ‘ব্লাড সেল সেপারেটর’মেশিন। এতে ব্লাড ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া, লিউকোমিয়া, ডেঙ্গুগুসহ একাধিক জটিল রোগ নির্ণয় ও রক্ত পরিশোধনের জন্য‘স্বয়ংক্রিয় অ্যাপেরেসিস মেশিন ’ব্যবহার করে, রক্তের শ্বেত কণিকা, লোহিত কণিকা, অনুচক্রিকা ও প্লাজমা পৃথক করে রোগীর দেহে সঞ্চালন উপযোগী করতেই এমন মেশিন আনা হয় বিভাগীয় হাসপাতালটিতে।
আক্রান্ত রোগীদের উন্নত ও নিরাপদ রক্ত গ্রহণে ঢাকামুখী হতে হবে না। অন্যদিকে, এতে তাদের জীবনহানির শঙ্কাও অনেক কমে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০২০ সালের পরীক্ষা শেষে মেশিনটিকে একেবারে অকার্যকর ঘোষণা করেন বিশেষজ্ঞরা। গুরুত্ব বিবেচনা করে মেশিনটি নষ্টের পরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নানা জটিলতার পর ৩ বছর পর সম্প্রতি আধুনিক স্বয়ংক্রিয় অ্যাপেরেসিস মেশিন দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ডেঙ্গু চিকিৎসায় উপকারী এই মেশিন এখন অনেক কার্যকর। সনাতন পদ্ধতিতে রক্ত নেয়ার জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে অটোমেশন। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছুদিনের মধ্যেই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে এই মেশিন। ফলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১২ জেলা নয়, পদ্মার এপাড়ে দেশের দক্ষিণের ২১ জেলার মানুষ এই মেশিনের সুবিধা পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।