খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীর হত্যাকে কেন্দ্র করে ভারত-ক্যানাডা দূরত্ব আরো বাড়লো। ৪১ জন কূটনীতিককে দেশে ফেরাচ্ছে ট্রুডোর দেশ।

বৃহস্পতিবার ক্যানাডা জানিয়েছে, ভারত থেকে ৪১ জন ক্যানাডার কূটনীতিককে দেশে ফেরানো হচ্ছে। তাদের সঙ্গে আরো ৪২ জন সহযোগী ক্যানাডায় ফিরে যাচ্ছে। ভারতের অবস্থানের জন্যই এই সিদ্ধান্ত তারা নিতে বাধ্য হয়েছে বলে ক্যানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ”ভারত হুমকি দিয়েছে, কূটনীতিকদের উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হবে। এই অবস্থায় কোনো দেশই নিজেদের কূটনীতিকদের অন্য দেশে রাখতে পারে না। ক্যানাডা সে কারণেই কূটনীতিদের ফেরাতে বাধ্য হচ্ছে।” বস্তুত, ভারতে সব মিলিয়ে ৬২জন ক্যানাডার কূটনীতিক আছেন। তার মধ্য থেকে ৪১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বাকিরা ভারতেই থাকছেন। তাদের রক্ষাকবচ আছে বলেই জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারত জানিয়েছে, ক্যানাডা ভারতীয় কূটনীতিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়ার পরেই তারা ক্যানাডার কূটনীতিকদের ডেকে পাঠিয়েছিল। ফলে চরম পদক্ষেপ ক্যানাডা আগে তুলেছে।

বস্তুত, এই গোটা বিতর্কের সূত্রপাত মাস দুয়েক আগে। ক্যানাডার নাগরিকত্ব নেয়া ভারতীয় বংশোদ্ভুত শিখ হারদীপ সিং নিজ্জর ভ্যাংকুভারের কাছে একটি গুরুদ্বারের সামনে নিহত হন। ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, ভারত এজেন্ট পাঠিয়ে একাজ করেছে। ভারত বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। এবং ক্যানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়।

ভারত জানিয়েছে, ক্যানাডা খালিস্তানিপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে। নিজ্জর তাদেরই এক নেতা। দীর্ঘদিন ধরে যারা স্বাধীন খালিস্তানি রাষ্ট্রের দাবি করছে। ইন্দিরা গান্ধী অপারেশন ব্লু স্টারের মাধ্যমে যার মোকাবিলা করেছিলেন কয়েক দশক আগে। তবে ক্যানাডায় ঢুকে নিজ্জরকে হত্যার যে অভিযোগ ক্যানাডা করছে, ভারত তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রথম থেকেই দাবি করছে। কিন্তু ক্যানাডা তা মানতে রাজি নয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই দেশের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ