কারখানা মালিকদের অনৈতিক সিন্ডিকেটের কারণে বিপাকে পঞ্চগড়ের চা চাষীরা
- আপডেট সময় : ০২:৩০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৭৫৫ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ মেয়াদে লাভের স্বপ্ন দেখানো চা-চাষ এখন পঞ্চগড়ের চা-চাষীদের গলার ফাঁসে পরিণত হয়েছে। শুরুতে ৩৫-৪০ টাকা দরে চা পাতা কিনলেও তা এখন ৮ টাকায় ঠেকেছে। দিশেহারা চাষীরা বলছেন, জেলায় চা কারখানা ও অকশন মার্কেট চালু হলেও অসাধু সিন্ডিকেটের দাপটে কাঁচা চা পাতার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা তারা।
গেলো দুই দশকে পঞ্চগড়ের বিস্তৃর্ণ সমতল ভূমিতে চা চাষের নিরব বিপ্লব ঘটেছে। একরের পর একর চায়ের বাগানগুলো দেখে মনে হবে দিগন্তজোড়া যেন সবুজের কার্পেট বিছানো হয়েছে। সবুজ চা পাতার নির্মল পরিবেশ যে কারুরই মনকে প্রফুল্ল করে তোলে।
তবে চা চাষীদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা। চাষের জমিতে বাগান করে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় চা চাষীরা। চায়ের অব্যাহত দর পতনে উৎপাদন ব্যয়ই তোলা এখন দায় হয়ে পড়েছে। চাষীরা বলছেন, কারখানা মালিকদের অনৈতিক সিন্ডিকেটের কারণে তারা ন্যায্য দর না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেকে পুরোনো চাষে ফিরতে শুরু করেছেন।
স্থানীয় চা চাষীরা বলছেন, যে দরে চা বিক্রি হচ্ছে এখন টিকে থাকাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলার নিলাম মার্কেট উৎপাদিত কাঁচা চায়ের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।
আর চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিলামে চায়ের বিক্রি মূল্যের উপর নির্ভর করে কাঁচা চা পাতার দর নির্ধারণ করা হয়। চায়ের মান ভালো না হওয়ায় নিলাম মার্কেটে ভালো দর উঠছে না। যে কারণে চাষীরা কাঁচা চা পাতার ভালো দরও পাচ্ছে না।
কাঁচা চা পাতার মান ভালো করার জন্য জেলার চা চাষীদের দোড়গোড়ায় গিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ড। ন্যায্য মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জানিয়ে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে চাষীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পঞ্চগড়ে ১২ হাজার ১শ ৭৯ একর জমিতে চা চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলা থেকে প্রায় ২ কোটি কেজি উন্নত মানের চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।