০৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এখন বাস্তবে রুপ পেতে যাচ্ছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১০:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৮৯২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এখন বাস্তব রুপ পেতে যাচ্ছে। শনিবার নতুন এই বন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং নব-নির্মিত চ্যানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে দেশে গভীর সমুদ্র বন্দরের স্বপ্ন এখন বাস্তবতা বলে মনে করছেন নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী। আর চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান বলছেন, মাতারবাড়ি বন্দর বাস্তবায়ন হলে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে এবং ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠবে।

এক দশক আগে সোনাদিয়ায় দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের পরিকল্পনা নেয় সরকার। কিন্তু অর্থ যোগানের পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেই পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি। ফুটেজ-১

তবে মহেশখালীতে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ১৬ মিটার গভীরতায় ১৪ কিলোমিটার চ্যানেল খনন করা হয়। কৃত্তিম এই চ্যানেলকে ঘিরে তৈরী হয় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের স্বপ্ন। যা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে শনিবার।

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল আর নির্মাণাধিন টার্মিনালের স্থান পরিদর্শন করেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্র মূল্যায়নের কাজ শেষ করেছে মন্ত্রণালয়।

২০২৬ সালে প্রথম টার্মিনালটি চালু হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে একসঙ্গে দুটি বড় জাহাজ ভেড়ানো যাবে; যার একটি কন্টেইনার জাহাজ আর অন্যটি খোলা পণ্যবাহী বাল্ক জাহাজ। এতে বাংলাদেশি আমদানী রপ্তানীকারকদের সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কিম্বা কলম্বোর মতো বন্দরের ওপর আর নির্ভরশীল হবে না।

বন্দর ও সংযোগ সড়কসহ সরকারের এই মেগা প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। যার প্রায় ১২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান। বাকি টাকার মধ্যে দু’হাজার ৬৭১ কোটি টাকা দেবে সরকার আর দুই হাজার ২১৩ কোটি দেবে চট্টগ্রাম বন্দর। বিদ্যুৎকেন্দ্রের অদূরে ও সাগর উপকূল থেকে দুই কিলোমিটার ভেতরে গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল তৈরী হবে।
সোহাগ কুমার বিশ্বাস, এসএটিভি চট্টগ্রাম।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এখন বাস্তবে রুপ পেতে যাচ্ছে

আপডেট সময় : ০২:১০:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এখন বাস্তব রুপ পেতে যাচ্ছে। শনিবার নতুন এই বন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং নব-নির্মিত চ্যানেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে দেশে গভীর সমুদ্র বন্দরের স্বপ্ন এখন বাস্তবতা বলে মনে করছেন নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী। আর চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান বলছেন, মাতারবাড়ি বন্দর বাস্তবায়ন হলে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে এবং ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠবে।

এক দশক আগে সোনাদিয়ায় দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের পরিকল্পনা নেয় সরকার। কিন্তু অর্থ যোগানের পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেই পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি। ফুটেজ-১

তবে মহেশখালীতে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ১৬ মিটার গভীরতায় ১৪ কিলোমিটার চ্যানেল খনন করা হয়। কৃত্তিম এই চ্যানেলকে ঘিরে তৈরী হয় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের স্বপ্ন। যা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে শনিবার।

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল আর নির্মাণাধিন টার্মিনালের স্থান পরিদর্শন করেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্র মূল্যায়নের কাজ শেষ করেছে মন্ত্রণালয়।

২০২৬ সালে প্রথম টার্মিনালটি চালু হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে একসঙ্গে দুটি বড় জাহাজ ভেড়ানো যাবে; যার একটি কন্টেইনার জাহাজ আর অন্যটি খোলা পণ্যবাহী বাল্ক জাহাজ। এতে বাংলাদেশি আমদানী রপ্তানীকারকদের সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কিম্বা কলম্বোর মতো বন্দরের ওপর আর নির্ভরশীল হবে না।

বন্দর ও সংযোগ সড়কসহ সরকারের এই মেগা প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। যার প্রায় ১২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান। বাকি টাকার মধ্যে দু’হাজার ৬৭১ কোটি টাকা দেবে সরকার আর দুই হাজার ২১৩ কোটি দেবে চট্টগ্রাম বন্দর। বিদ্যুৎকেন্দ্রের অদূরে ও সাগর উপকূল থেকে দুই কিলোমিটার ভেতরে গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল তৈরী হবে।
সোহাগ কুমার বিশ্বাস, এসএটিভি চট্টগ্রাম।