শ্বেত শুভ্র বসনে রূপের পেখম মেলেছে পঞ্চগড়ের মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘা
- আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৯৩৮ বার পড়া হয়েছে
শ্বেত শুভ্র বসনে রূপের পেখম মেলেছে পঞ্চগড়ের মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভোরের আকাশে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে প্রতিদিনই দেখা মিলছে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম এ পর্বত শৃঙ্গের। প্রতিবেশি ভারতের সিকিম ও নেপাল সীমান্তে অবস্থিত পর্বতশৃঙ্গের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অসংখ্য পর্যটক ভীড় করছেন উত্তরের প্রবেশদ্বাড় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
ভোরের মেঘমুক্ত আকাশে আবারও দেখা মিলছে পঞ্চগড়ের নয়নাভিরাম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার। সূর্যের মিষ্টি আলোকছটায় কাঞ্চনজঙ্ঘা তার রুপের পেখম মেলে বাহারি রংয়ের উৎসবে মেতে উঠছে। সূর্য কিরণের ওঠা নামার সাথে সাথে বর্ণিল হয়ে ওঠে পর্বতশৃঙ্গের রং বদলের খেলা।
কখনও শ্বেত শুভ্র, কখনও সোনালী, কখনও ধূসর আবার কখনও নীলাভ বর্ণ ধারণ করা কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটকদের বরাবরই তাক লাগিয়ে দেয়। প্রতিবছর মধ্য নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় এই রুপ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার উচ্চতার অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এরই মধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ভীড় জমিয়েছেন হাজারও পর্যটক। প্রতিদিনই বাড়ছে এ সংখ্যা।
পাসপোর্ট ছাড়াই প্রতিবেশি দেশে থাকা অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখে পযটকেরা বলছেন, ধরনীর বুকে প্রকৃতি কতটা অপরূপ– তা অনুভব করা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে।
পর্যটকদের নিরাপদ চলাচলে টুরিস্ট পুলিশ আন্তরিক বলে জানালেন, তেতুঁলিয়া পুলিশের এ কর্মকর্তা।
ভ্রমনে আসা পর্যটকদের সার্বিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সহায়তা করছে বলে জানান, তেতুঁলিয়া ইউএনও।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, আবহাওয়া ভালো হলে চলতি বছর দেশী-বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। এতে পরিবহন, আবাসিক ও ব্যবসায়িকসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকার বাড়তি লেনদেন হবে।