০৯:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের অধিকাংশ প্রার্থীদের সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১৬৩৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের অধিকাংশ পুরানো প্রার্থীদের সম্পদ বেড়ে গেছে বহুগুণ। কারো কারো স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ প্রার্থীর চেয়েও বেশি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনী হলফনামার তথ্যে জানা গেছে ২০ বিঘা জমি কেউ কিনেছেন ২ হাজার টাকায়। আবার কেউ বলছেন, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মাসিক সম্মানী পান ১০ লাখ টাকার বেশি। এমন তথ্য হলফনামায় থাকলেও কথা বলে নারাজ তারা। বিশিষ্টজনরা বলছেন, সম্পদ বৃদ্ধির বিশ্বাসযোগ্য উৎস কেউ দেখাতে পারবেন না। জবাবদিহিতার অভাবে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। সোহাগ কুমার বিশ্বাসের প্রতিবেদনে বিস্তারিত।

চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নদভী। নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় সম্পদের পরিমান ৭ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯০ টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ২ কোটি ১২ লাখের কিছু বেশি। তিনগুন সম্পদ বৃদ্ধির অন্যতম উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাসে ১১ লাখ টাকার সম্মানী। ফুটেজ-১ ও গ্রাফিক্স-১,২,৩,৪

সম্পদ বাড়ার তালিকায় চট্টগ্রাম-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। আগের হলফনামায় দেয়া ৬ কোটি টাকার সম্পদ এবার সাড়ে ১৪ কোটি ছাড়িয়েছে। সনির দাবি, বর্ধিত সম্পত্তির সবই তিনি উপহার পেয়েছেন।

একই আসনের তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর হলফনামায় বার্ষিক আয় ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৭৬ হাজার ১৮১ টাকা। তবে স্ত্রী-সন্তানদের আয় ও সম্পদের পরিমাণ ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার ৪১১ টাকা। যা ২০১৮ সালের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

২০১৮ সালে চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাংসদ শিক্ষা-উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ২ কোটি টাকার সম্পদ এবার ৮ কোটি ছুয়েছে। ফুটেজ-১ ও গ্রাফিক্স-১৩,১৪ বাঁশখালীর মোস্তাফিজুর রহমানের ১ কোটি ২২ লাখ টাকার সম্পদ বেড়ে ৬ কোটি ছাড়িয়েছে। গ্রাফিক্স-১৫,১৬ এভাবে সব প্রার্থীর সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুনে। যদি তার সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য উৎস নেই কারো কাছে।

আর সুজন বলছে, প্রতি নির্বাচনে প্রার্থীদের হাস্যকর হলফনামা নিয়ে আলোচনা হলেও এ বিষয়ে তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়নি কেউ। ফলে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনে দিনে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের অধিকাংশ প্রার্থীদের সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের অধিকাংশ পুরানো প্রার্থীদের সম্পদ বেড়ে গেছে বহুগুণ। কারো কারো স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ প্রার্থীর চেয়েও বেশি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনী হলফনামার তথ্যে জানা গেছে ২০ বিঘা জমি কেউ কিনেছেন ২ হাজার টাকায়। আবার কেউ বলছেন, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মাসিক সম্মানী পান ১০ লাখ টাকার বেশি। এমন তথ্য হলফনামায় থাকলেও কথা বলে নারাজ তারা। বিশিষ্টজনরা বলছেন, সম্পদ বৃদ্ধির বিশ্বাসযোগ্য উৎস কেউ দেখাতে পারবেন না। জবাবদিহিতার অভাবে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। সোহাগ কুমার বিশ্বাসের প্রতিবেদনে বিস্তারিত।

চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নদভী। নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় সম্পদের পরিমান ৭ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯০ টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ২ কোটি ১২ লাখের কিছু বেশি। তিনগুন সম্পদ বৃদ্ধির অন্যতম উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাসে ১১ লাখ টাকার সম্মানী। ফুটেজ-১ ও গ্রাফিক্স-১,২,৩,৪

সম্পদ বাড়ার তালিকায় চট্টগ্রাম-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। আগের হলফনামায় দেয়া ৬ কোটি টাকার সম্পদ এবার সাড়ে ১৪ কোটি ছাড়িয়েছে। সনির দাবি, বর্ধিত সম্পত্তির সবই তিনি উপহার পেয়েছেন।

একই আসনের তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর হলফনামায় বার্ষিক আয় ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৭৬ হাজার ১৮১ টাকা। তবে স্ত্রী-সন্তানদের আয় ও সম্পদের পরিমাণ ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার ৪১১ টাকা। যা ২০১৮ সালের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

২০১৮ সালে চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাংসদ শিক্ষা-উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ২ কোটি টাকার সম্পদ এবার ৮ কোটি ছুয়েছে। ফুটেজ-১ ও গ্রাফিক্স-১৩,১৪ বাঁশখালীর মোস্তাফিজুর রহমানের ১ কোটি ২২ লাখ টাকার সম্পদ বেড়ে ৬ কোটি ছাড়িয়েছে। গ্রাফিক্স-১৫,১৬ এভাবে সব প্রার্থীর সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুনে। যদি তার সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য উৎস নেই কারো কাছে।

আর সুজন বলছে, প্রতি নির্বাচনে প্রার্থীদের হাস্যকর হলফনামা নিয়ে আলোচনা হলেও এ বিষয়ে তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়নি কেউ। ফলে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনে দিনে।