দেশ সেরা ব্র্যান্ডসমূহকে পুরষ্কৃত করলো বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম
- আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১৭১৮ বার পড়া হয়েছে
দেশের সেরা ব্র্যান্ড গুলোকে স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে গত ২৩শে ডিসেম্বর রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে একটি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে ১৫তম বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম। এই বছর ৪০টি ভিন্ন ক্যাটেগরিতে ৪০টি ব্র্যান্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয় মোস্ট লাভড ব্র্যান্ড বা দেশের সেরা ব্র্যান্ডের সম্মানসূচক পুরস্কারটি। এছাড়াও, ১৫টি ব্র্যান্ডকে প্রদান করা হয় ‘ওভারঅল টপ ১৫ মোস্ট লাভড ব্র্যান্ডস অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা। এই আসরে, ‘মোস্ট ইমার্জিং ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি সম্মাননাও প্রদান করা হয়। এনসার্চ লিমিটেডের অংশীদারিত্বে এবং দ্য ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় আয়োজিত বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এ মোট ৫৬টি সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও, জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৪০টি ক্যাটেগরিতে ২য় এবং ৩য় মোস্ট লাভড ব্র্যান্ডের নামও ঘোষনা করা হয় আয়োজনটিতে।
বাংলাদেশের ওভারঅল টপ ১৫টি ব্র্যান্ডের মধ্যে স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো আধিপত্য বজায় রেখেছে। এই বছর বেস্ট ব্র্যান্ডের মর্যাদা লাভ করেছে বিকাশ। রাঁধুনি এবং আরএফএল হাউসওয়্যার যথাক্রমে দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের খেতাব অর্জন করে । এই তালিকায় থাকা অন্য ব্র্যান্ড গুলো হচ্ছেঃ গ্রামীণফোন, ইস্পাহানী মির্জাপুর, স্বপ্ন, দারাজ, প্যারাসুট এডভান্সড, সানসিল্ক, ক্লোজ আপ, কোকাকোলা, ম্যাগি ২ মিনিট নুডলস, এসিআই পিওর সল্ট, লাক্স এবং স্যামসাং মোবাইল। ব্র্যান্ড ইকুইটি ইনডেক্সের ভিত্তিতে বিগত ৩ বছর ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে ঊর্ধ্বগামী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করায় নগদকে ‘মোস্ট ইমার্জিং ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এই সম্মাননাটি সেই সকল ব্র্যান্ডগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে প্রদান করা হয় যারা ব্যবসায়িক মূল্যে এবং ভোক্তার জীবনে অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে একটি অর্থপূর্ণ উচ্চতায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে৷ বছরের সেরা ব্র্যান্ড বাছাই করতে, এনসার্চ লিমিটেড একটি জরিপ পরিচালনা করে। এই জরিপটি বাংলাদেশের আটটি বিভাগের শহর ও গ্রামীণ উভয় অঞ্চলে পরিচালিত হয়েছিল। সমান শতাংশের নারী ও পুরুষ নিয়ে মোট ১০,০০০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এনসার্চ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার সামিনা আফরিন,এক বিস্তারিত আলোচনায় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এর মেথোডোলোজি ব্যাখ্যা করেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের পরিচালক এবং ক্রিয়েটিভ এডিটর নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, “ভোক্তাদের জীবনে ব্র্যান্ডগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ একটি ব্র্যান্ডের বৃদ্ধির যাত্রায় তার ব্যবসার পাশাপাশি দেশ এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বও বৃদ্ধি পায়। এই আয়োজনটি সেই সমস্ত ব্র্যান্ডগুলিকে স্বীকৃতি জানায় যারা কেবল তাদের ব্যবসায় নয় বরং সমগ্র জাতি এবং অর্থনীতির বৃদ্ধিতেও ব্যাপক অবদান রেখেছে৷ বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্দেশ্য হল জাতিকে অনুপ্রাণিত করা। আমি বিশ্বাস করি, এই সম্মাননাটি বাংলাদেশে সক্রিয় সব ব্র্যান্ডকে আরও ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে, এবং সর্বোপরি গোটা জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে।”
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে উপস্থিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড গুলোকে অনুপ্রাণিত ও সম্মানিত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের হাত ধরে শুরু হয় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের যাত্রা। এক দশকের অধিক সময়ের ধারাবাহিকতায় আয়োজনটি হয়ে উঠেছে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডিং সম্মাননা। দেশে প্রচলিত সেরা ব্র্যান্ডগুলোর একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় অর্জিত সাফল্যকে উদযাপনের লক্ষ্যেই বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড আয়োজিত হয়।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এর পার্টনার হিসেবে ছিল এনসার্চ লিমিটেড। স্ট্রাটেজিক পার্টনার বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম; নলেজ পার্টনার মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ; টেকনোলজি পার্টনার আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড এবং পিআর পার্টনার ব্যাকপেজ পিআর।