লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিতে
- আপডেট সময় : ০১:০৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ১৮১৩ বার পড়া হয়েছে
লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের বানিজ্যিক জাহাজে হামলার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যে। বিদেশী জাহাজ কোম্পানীগুলো ইতোমধ্যে বিকল্প পথে পন্য পরিবহনের ঘোষনা দিয়ে বাড়তি সারচার্জ আরোপ শুরু করেছে। এতে বাড়তি খরচের পাশাপাশি লিড টাইম লচের প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হচ্ছে দেশীয় উদ্যোক্তাদের। বৈশ্বিক সংকটের এই সময়ে যা মরার ওপর খারার ঘা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের মোট রপ্তানি পন্যের অন্তত ৬৩ শতাংশের গন্তব্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। আর এসব দেশ থেকে আমদানি পন্য আসে কমপক্ষে ৮ শতাংশ। সমুদ্রপথে সুয়েজখাল ও লোহিত সাগর হয়েই এসব পণ্য আনা নেয়া করে শিপিং কোম্পানীগুলো।
কিন্তু সাম্প্রতি ইসরাইল-ফিলিস্তিন সহিংসতার জেরে অস্থির হয়ে উঠেছে বিশ্ব বাণিজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ এই নৌরুটটি। বিশ্ব বাজারকে আরেকদফায় অস্থির করে তুলতে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা টার্গেট করে বসেছে এই পথে চলাচল করা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জাহাজে সফল হামলাও চালিয়েছে তারা। ঝুঁকি এড়াতে শীর্ষস্থানীয় শিপিং কোম্পানী মার্কস লাইন, এমএসসি,সিএমএ-সিজিএম, কসকো ও হ্যাপাগ লয়েড এই পথ এড়িয়ে আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে পন্য পরিবহনের ঘোষণা দিয়েছে।
লোহিত সাগরের এই অস্থিরতা চিন্তার ভাজ ফেলেছে ফেলেছে দেশের ব্যবসায়ীদের কপালে। বর্তমানে একটি ৪০ ফুট কন্টেইনার ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে খরচ হয় দুই হাজার ডলারের কিছু বেশি। নতুন পথে পরিবহণ করলে এই খরচ বেড়ে দাড়াবে ৩ হাজার ৮শ ডলারের কাছাকাছি। ডলার সংকটের এই সময়ে যা বাড়তি চাপ হয়ে দেখা দেবে জাতীয় অর্থনীতিতে।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে এই সংকট সাময়িক। যার তেমন প্রভাব পড়বে না বাংলাদেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে। ফুটেজ-২
বর্তমানে সুয়েজ খাল ও লোহিত সাগর হয়ে একটি কন্টেইনার ইউরোপে পৌঁছাতে সময় লাগে ২৫ থেকে ২৬ দিন। আর যুক্তরাষ্ট্রে যেতে লাগে ৩৫ থেকে ৪০ দিন। নতুন পথে পণ্য পৌছতে হলে আরো ১০ থেকে ১২ দিন বেশি সময় যুক্ত হবে লিড টাইমের সঙ্গে।