তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়
- আপডেট সময় : ০৪:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৮৫৫ বার পড়া হয়েছে
তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়। একদিনের ব্যবধানে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে গেছে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা। সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন তাপমাত্রা ওঠা-নামায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, মেঘ ও ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা নেই। বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ, আর গতিবেগ ঘণ্টায় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার। বেলা বাড়লেও কুয়াশায় ঢেকে আছে জেলার চারপাশ। তাপমাত্রার পারদ নেমে শীতের মাত্রা বাড়ায় চরম দুর্ভোগে শ্রমজীবী এবং নিম্ন আয়ের মানুষ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। রোগীর চাপ বৃদ্ধিতে হাসপাতালে পরিস্থিতি সামাল দিতে, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ঠাকুরগাঁওয়ে কমছে না শীত। ক্রমশ বাড়ছে তীব্রতা। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে বেড়েছে দুর্ভোগ। এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ৭ থেকে ১০ ডিগ্রিতে ওঠা-নামা করছে। জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দিনাজপুরে তীব্র শীত আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা মানুষের। ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগ বেড়েছে জনজীবনে। গত কয়েকদিন থেকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে। জেলায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে আবারও বয়ে যাচ্ছে মাঝারী শৈত্য প্রবাহ। প্রতিদিনই ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। সেইসাথে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে জনপদ। জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বৃষ্টির ফোটার মত ঝড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা চুয়াডাঙ্গাও। বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি হ্রাস পেয়েছে। মাসের শুরু থেকেই মৃদু ও মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলার উপর দিয়ে। কনকনে ঠাণ্ডা মানুষের পাশাপাশি কাবু হয়ে পড়েছে গবাদীপশু ও পাখি।