দেশে ভয়াবহ গ্যাস সংকটের মধ্যেও চট্টগ্রামে বিপুল পরিমান গ্যাস চুরি
- আপডেট সময় : ০৯:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৭০৫ বার পড়া হয়েছে
দেশে ভয়াবহ গ্যাস সংকটের মধ্যেও চট্টগ্রামে বিপুল পরিমান গ্যাস চুরি হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী। সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পরও দুটি ইন্ডস্ট্রিয়াল সংযোগের তদন্তে এসে গ্যাস চুরির তথ্য পেয়েছে জ্বালানী মন্ত্রনালয় ও পেট্রোবাংলার উচ্চ পর্যায়ের টিম। জ্বালানি মন্ত্রনালয়ের দাবি, গ্রাহক পর্যায়ের অনিয়মের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে চুরির ঘটনায় কর্ণফুলীর কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস সংযোগ বাইপাস করা কিংবা মিটার টেম্পারিংয়ের মতো টেকনিক্যাল বিষয় কোম্পানীর সংশ্লিষ্টতা ছাড়া সম্ভব নয়।
তিন মাস ধরেই ভয়াবহ গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ। কবে সংকট সমাধান হবে-তাও জানা নেই কারো। এমন বাস্তবতায়ও থেমে নেই গ্যাস চুরি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু এলাকার গোল্ডেন অক্সিজেন। মিটারের আগে হোসপাইপ লাগিয়ে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগে ২৫ জুলাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পেপার সীল করে দেয় কর্ণফূলী। ১৭ সেপ্টেম্বর ফের ভিজিটে গিয়ে, একইভাবে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে গ্যাস চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে।
কালুরঘাট এলাকার শামান্তা সিএনজি স্টেশনে গ্যাস চুরির খবর এর আগেও একাধিকবার প্রচার করে এসএ টিভি। সবশেষ গেল বুধবার অনুমোদিত রাইজার ব্যবহার করে গ্যাস চুরির দায়ে তৃতীয়বার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কর্ণফুলী।
নিয়মানুযায়ী পরপর দুইবার কোন গ্রাহকের গ্যাস চুরির বিষয়টি ধরা পরলে স্থায়ী সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি সিএমএস উত্তোলন করে নিয়ে আসার কথা। কিন্তু গোল্ডেল অক্সিজেন কিংবা শামান্তা সিএনজি স্টেশনের ক্ষেত্রে তা হয়নি। এতে হতবাক জ্বালানী বিষেশজ্ঞরা।
গেলো শুক্রবার এই দুটি সংযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে এসে অনিয়ম ও গ্যাস চুরির সত্যতা পায় জ্বালানী মন্ত্রণালয় ও পেট্রোবাংলার উচ্চ পর্যায়ের টিম
বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্ণফূলীতে গ্যাস চুরির অভিযোগ দীর্ঘদিনের পুরোনো। বিভিন্ন সময়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীরা শাস্তির মুখোমুখি হলেও সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
শামান্তা সিএনজি স্টেশনের গ্যাস চুরি নিয়ে ২০২২ সালে দু’বার সংবাদ প্রকাশ করে এস্ টিভি। তখন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটিও করে পেট্রোবাংলা। কিন্তু গেলো দুই বছরেও সেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি।