রপ্তানি খাতে প্রণোদনা প্রত্যাহারের ঘোষণায় শঙ্কায় শিল্প মালিকরা
- আপডেট সময় : ০১:০৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৯৩৬ বার পড়া হয়েছে
মধ্য-আয়ের দেশে ওঠার পর হঠাৎ করে রপ্তানী খাতে প্রণোদনা প্রত্যাহারের ঘোষণায় বাজার হারানোর শঙ্কায় পড়েছে রপ্তানীমুখী শিল্প মালিকরা। তাদের দাবি প্রণোদনার হিসেব কষেই অর্ডার নেয়া হতো এতোদিন। যা না পেলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নগদ সহায়তা প্রত্যাহারের আগে গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যবসার ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
রপ্তানী পণ্যের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রণোদনা পান রপ্তানী খাত সংশ্লিষ্টরা। ডব্লিউটিও’র নীতি অনুযায়ী ২০২৬ সালে পুরোপুরি মধ্য আয়ের দেশে ওঠার পর আর কোন খাতেই প্রণোদনা দেয়া যাবে না। কিন্তু দু’বছর আগেই প্রস্তুতির দোহায় দিয়ে নতুন মুদ্রানীতিতে প্রনোদনা কমানোর ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ক্ষোভ জানিয়ে রপ্তানী সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নানান কারনে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে তৈরী পোশাকসহ রপ্তানীমুখী শিল্প সেক্টর। এই বাস্তবতায় নতুন সিদ্ধান্ত মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে উঠবে জাতীয় অর্থনীতিতে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কোন আলোচনা ছাড়া হঠাৎ করেই এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ায় আরেক দফা অস্থিরতা তৈরী হবে জাতীয় অর্থনীতিতে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক কারণে এমনিতেই চাপে আছে জাতীয় অর্থনীতি। এই বাস্তবতায় প্রনোদনা সহায়তা কমিয়ে আনার আগে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরী ও গ্যাস বিদ্যুৎসহ ইউটিলিটি সার্ভিস নিশ্চিতে মনোযোগী হলে সুফল বেশি আসতো। কাস্টমসের কড়াকড়ি বন্ডের বাড়াবাড়ি বন্দরের সীমাবদ্ধতার কারণে পণ্য রপ্তানীতে লিড টাইম নিয়ে এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে রপ্তানীকারকরা। এসব প্রতিবন্ধকতা নিরসনের আগে প্রনোদনা নিয়ে নতুন জটিলতায় আরেকদফায় অনিশ্চয়তা তৈরী হলো বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের সবচেয়ে বড় এই উৎসে।