মধু উৎপাদন বাংলাদেশে বেশি তাও জিআই সনদ পেল ভারত
- আপডেট সময় : ১১:২৫:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৮৪৭ বার পড়া হয়েছে
সুন্দরবনের আয়তন ও মধু উৎপাদন সবই বাংলাদেশ অংশে বেশি থাকা সত্ত্বেও নিজেদের পণ্য হিসেবে মধুর আন্তর্জাতিক ভৌগোলিক নির্দেশক সনদ বা জিআই সনদ না পাওয়ায় হতাশ বাংলাদেশের মধু সংশ্লিষ্টরা। অথচ জিআই সনদের বিষয়ে কিছুই জানে না বনবিভাগ। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ সুন্দরবন থেকে মধু আহরণ ও বিপণনের সঙ্গে জড়িতরা। তারা বলছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বহীনতার কারণে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ, আর ভারত একক ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে মধুর জিআই সনদ।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। ৩ হাজার ৪৮৩ বর্গ কিলোমিটার পড়েছে ভারতের ২৪ পরগনায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট অংশে রয়েছে মোট আয়তনের ৬৬ ভাগ।
এই বন থেকে প্রতি বছর মধু আহরণ হয় ৩০০ টন। ভারতে গত ৭ বছরে গড়ে মধু সংগ্রহের পরিমাণ ১৫৭ টন। মধু আহরণ ও সুন্দরবনের অধিকাংশ জায়গা বাংলাদেশে থাকার পরেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বহীনতায় জিআই সনদে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।
ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের বিষয়টি অবিলম্বে বাতিলের পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
সুন্দরবনের মধুকে জিআই পন্য হিসেবে আবেদন করা হয়েছে জানান জেলা প্রশাসক। আর এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানালেন বন সংরক্ষক।
আন্তর্জাতিক মহলে সুন্দরবনের মধু প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলাদেশ সে লক্ষ্যে কাজ করার দাবি বিশিষ্টজনদের।