সুন্দরবনের নদী ও খালে চরপাটা জাল দিয়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
- আপডেট সময় : ১০:৫৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪
- / ১৬৫৫ বার পড়া হয়েছে
সুন্দরবনের নদী ও খালে চরপাটা জাল দিয়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ। এতে বেকার হয়ে পড়েছে সুন্দরবনে মৎস্য আহরণে জড়িত প্রায় ৫ লাখ মানুষ। পূনর্বাসন বা বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা না করায় অসহায় পড়েছেন এই জেলেরা। আর বন বিভাগ এবং মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, আইন মেনেই মৎস্য আহরণ বন্ধ করা হয়েছে।
সুন্দরবন থেকে সরাসরি সম্পদ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় দুই-তিন লাখ বনজীবী। আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুন্দরবনের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। এর মধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগে অন্তত ১০ লাখ মানুষ সুন্দরবনের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল।
বনবিভাগ থেকে হঠাৎ করেই সুন্দরবনে চরপাটা জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করায় হাজার হাজার জেলে বেকার হয়ে বসে আছেন। তারা বলছেন, আগে মৎস প্রজননের কারনে ৫ মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা নিষেধ ছিলো। এখন মাছ ধরা বন্ধ করলে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলেরা জীবন ধারণ করতে হিমশিম খাবে।
সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের কর্মকর্তা বলছেন, মৎস্য অধিদপ্তর গেজেটের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই জাল দিয়ে মাছ ধরলে প্রজননের বিরূপ প্রভাব পড়ে তাই এটা বন্ধ করা হয়েছে।
আর মৎস কর্মকর্তা বলছেন, জেলার নিবন্ধিত জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনের ব্যবস্থা করা হয়। তবে মৎস সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন যদি সুন্দরবনে প্রয়োগ করা হয় সেক্ষেত্রে জেলেদের বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিৎ।
পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের ৩ হাজার ১ শ বোট লাইসেন্স সার্টিফিকেটধারী জেলে রয়েছে।আর সাতক্ষীরা রেঞ্জে রয়েছে ২ হাজার ৯শ জন জেলে।