১৫ হাজার মানুষের মাঝে যাকাতের কাপড় বিতরণ করলেন এসএ পরিবহনের কর্ণধার
- আপডেট সময় : ০৮:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৭৩৯ বার পড়া হয়েছে
প্রতি বছরের মতো এবারও ১৫ হাজার অসহায় মানুষের মাঝে যাকাতের কাপড় বিতরণ করলেন এস এ পরিবহনের কর্ণধার সালাউদ্দিন আহমেদ। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আমিরাবাদের নিজ বাসভবনে গরীব দুখী মানুষের মধ্যে এসব কাপড় বিতরণ করেন তিনি। ঈদের আগে নতুন শাড়ি, লুঙ্গী পেয়ে আবেগে আপ্লুত সাধারণ মানুষ। এ আয়োজনে যোগ দেয়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা সালাহউদ্দিন আহমেদের ভূয়সী প্রসংসা করেন। ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যয় জানান সালাহউদ্দিন আহমেদের উত্তরসূরীরা। নোয়াখালী থেকে হেদায়েত উল্যাহ সীমান্তের প্রতিবেদন।
সোনাইমুড়ির আমিরাবাদের সুর্য সন্তান সালাহউদ্দিন আহমেদের জন্য বিশেষ দিনগুলোতে এভাবেই অপেক্ষায় থাকে হাজার হাজার মানুষ। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাকাতের কাপড় নিতেও ছিল বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের আগে গরিব দুখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সব ব্যস্ততা ভুলে সালাউদ্দিন আহমেদ ছুটে আসেন নিজ গ্রামে। বাড়িতে পা রেখে প্রথমে জিয়ারত করেন মা বাবা ও প্রিয়তমা স্ত্রীর মরহুমা নুর নাহার বেগমের কবর।
দোয়া শেষে খোঁজ নেন জন্মস্থানের মানুষের। যাকাতের কাপড় সবার হাতে তুলে দেয়াতেই তার আনন্দ পূর্নতা পায়। গ্রামের মানুষ ঘিরে স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন তিনি। জনপ্রতিনিধি করতে সোনাইমুড়ির জনগণের অনুরোধ থাকলেও, ব্যবসায়ী হিসেবেই সব সময় গরিব দুখি মানুষের পাশে থাকতে চান তিনি। পিতার এমন কাজে উৎসাহিত সন্তানরাও।আগামীতে এ দায়িত্ব পালন করতে সবার দোয়া কামনা করেন তারা। যাকাত প্রদান অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধরাও কাজ করেন আন্তরিকতার সাথে। তারা মানবিক সালাহউদ্দিন আহমেদের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তিনি যেন সব সময় মানুষের পাশে থাকতে পারেন এমন কামনা ছিল সহকর্মীদের।
যাকাত প্রদান অনুষ্ঠান ঘিরে আমিরাবাদে উৎসবমুখের পরিবেশ তৈরি হয়। যোগ দেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও। অসচ্ছ্বল হাজারও নারী পুরুষ যাকাতের কাপড় হাতে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। বয়োবৃদ্ধরাও লাঠিতে ভর করে এই আনন্দ ভাগাভাগির জন্য সামিল হন। প্রাণ ভরে দোয়া করেন সালাহউদ্দিন আহমেদের জন্য। তীব্র গরমে অপেক্ষার পর প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয় সালাহউদ্দিন আহমেদের নাম।