বৈসাবি ঘিরে উৎসব মুখর এখন পাহাড়ি জনপদ
- আপডেট সময় : ০৫:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৭৪১ বার পড়া হয়েছে
বৈসাবি ঘিরে উৎসব মুখর এখন পাহাড়ি জনপদ। অংশ নেয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীরা। উৎসব দেখতে ভিড় জমিয়েছেন
পর্যটকরাও।
কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়িদের প্রধান উৎসব বৈসাবী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তরুণ-তরুণীরা নিজস্ব পোশাকে সজ্জিত হয়ে নেচে গেয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীসহ নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ। শনিবার মুল বিজু পালন করবে পাহাড়ীরা।পয়লা বৈশাখে শেষ হবে উৎসব।
বান্দরবান সাঙ্গু নদীতেও ফুল ভাসিয়ে শুরু হয়েছে চাকমা তংচঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব বিজু। শিশু ও তরুণ তরুনীরা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ফুল বিজুর মাধ্যমে গঙ্গাদেবীর মঙ্গল কামনা ও পুরানো সব দুঃখ, গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
খাগড়াছড়িতে শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা ফুল তুলে নদীর তীর, নালা, খাল বিল, পুকুর ও কুয়ার ঘাট যে যেখানে পারে বেদী তৈরি করে, বেদিতে ফুল দিয়ে গঙ্গাদেবির প্রার্থনা করে। স্বাগত জানায় নববর্ষকে। প্রথম দিন ফুল বিঝু, দ্বিতীয় দিন মূল বিঝু অর্থাৎ অথিতি আপ্যায়নের দিন। এই দিন বৌদ্ধ বিহারে ভিক্ষুদের বুদ্ধ মুর্তি দান, অষ্ট পরিস্কার দান, সংঘ দান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডু দানসহ নানা ধর্মীয় কাজ করা হয়।
আর ত্রিপুরাদের প্রথম দিন হারি বৈসু, দ্বিতীয় দিন বৈসুমা, তৃতীয় দিন বিচি কাতাল বলা হয়। মারমাদের প্রথম দিন সাংগ্রাই, এর পরের দিন আক্য ও তৃতীয় দিন আতাদা বলা হয়। জামজমক আয়োজনে পালিত হচ্ছে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব।