বেসিসে ২১ জনের নির্বাহী কমিটি করতে চাই : ডিউক
- আপডেট সময় : ১২:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৭৮৩ বার পড়া হয়েছে
দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে তিন প্যানেলে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে নির্বাহী কমিটির ১১ পদে ৩৩ প্রার্থীর পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমাদের একটি বড় লক্ষ্য বেসিসের জন্য স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন একটি স্থায়ী জমি, তার উপর নির্মাণ করা হবে বেসিসের নিজস্ব ভবন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কারার জন্য আমরা ঢাকা সিটি মেয়র এবং রাজউক কর্তৃপক্ষকে সাথে রেখে নিষ্ঠার সাথে এই সাফল্য অর্জন করতে চাই।
তিনি বলেন, সদস্যদের সবচেয়ে জরুরী দাবী কর অব্যাহতির সময় বাড়াতে কাজ করতে চাই। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুন মাসে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে এই ট্যাক্স এক্সেমশন আদায় করতে চাই। টিম সাকসেসের দৃঢ় বিশ্বাস, তথ্যপ্রযুক্তির মেধা আর চাহিদা সমন্বয় করতে এই ট্যাক্স এক্সেমশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
আপনারা অনেকে জেনে থাকবেন যে, আমি সর্বপ্রথম বেসিস সফটএক্সপোর কনভেনর ছিলাম। লোকাল এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমি সফটএক্সপোকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে চাই। যেখানে নিশ্চিত থাকবে দেশি ও বিদেশি ক্রেতাদের উপস্থিতি। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে নির্দিষ্ট পলিসি ঠিক করা, লোকালি প্রডিউস সফটওয়্যারের মূল্য নির্ধারণ করা, নিয়মিত সফটওয়্যার ভিত্তিক সেমিনার ও বিটুবি ম্যাচ মেকিং প্রোগ্রাম করা।
ডিউক বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে বেসিস সংবিধানে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চাই। আমাদের লক্ষ্য বর্তমানে ১১ জন নির্বাহী কমিটির সংখ্যাকে ২১ জনে রূপান্তর করা। এর মধ্যে আমরা ৪টি রিজার্ভ পদ রাখতে চাই; যেখানে ২টি পদ থাকবে সংরক্ষিত নারী উদ্যোক্তা সদস্যের জন্য এবং ২টি পদ থাকবে টেকনোক্রাট সদস্যের জন্য।
মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, সফলতার প্রথম ধাপেই দরকার আর্থিক স্বচ্ছলতা। যেকোনো সাফল্য সামগ্রিকভাবে আনতে হলে দরকার অর্থনৈতিক সহায়তা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করার ইচ্ছে আছে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে।
আইটি কোম্পানির জন্য সহজ আর সুলভে ঋণ পাওয়ার কাজ করতে নীতিমালা পরিবর্তন, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সর্বোপরি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আর্থিক প্রণোদনা বা সহায়তা পাওয়া নিয়ে আমরা টিম সাকসেস কাজ করবো।
নীতিমালা প্রণয়ন করে আমরা ডিজিটাল ব্যাংকগুলোতে সম্ভাবনাময় আইটিখাতে স্বল্প সুদে ঋণ দেবার একটা সুযোগ রাখার অনুরোধ আর ব্যবস্থা দুটিই করতে সচেষ্ট থাকবো। আমাদের প্রস্তাবিত নীতিমালাতে ডিজিটাল ব্যাংকের মোট ঋণ প্রদানের একটা অংশ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা থাকবে।
অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের অন্য প্রার্থীরা তাদের পরিচিতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য তৌফিকুল করিম, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মো. সহিবুর রহমান খান, ফারজানা কবির, মো. শফিউল আলম, ইমরান হোসেন, সৈয়দা নাফিসা রেজা এবং এন এম রাফসান জানি (সহযোগী), আবদুল আজিজ (অ্যাফিলিয়েট) ও আবু মুহাম্মদ রাশেদ মজিদ (আন্তর্জাতিক)।
প্রার্থী পরিচিতি সভা পরিচালনা করেন বেসিসের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবির। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য সৈয়দ মামনুর কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী। নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বেসিসের মোট সদস্যসংখ্যা ২ হাজার ৪০১। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯৩২, সহযোগী ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ১৩৪ ও আন্তর্জাতিক সদস্য শ্রেণিতে ভোটার ৯ জন।