হিটস্ট্রোকে ঢাকাসহ সারাদেশে আরো ৪ জনের মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৬৯৯ বার পড়া হয়েছে
তাপপ্রবাহে ৭ দিন বন্ধ থাকার পর আজ খুলেছে সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশজুড়ে চলমান তাপদাহে আবারও ৭২ ঘন্টার হিট এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এদিকে হিটস্ট্রোকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক মাংস ব্যবসায়ী, মাদারীপুরে দুই কৃষক এবং যশোরে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। প্রচন্ড গরমে স্কুলে এসে নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জে ১৮ শিক্ষার্থী এবং ফরিদপুরে ১৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। বৃষ্টির আশায় বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত রয়েছে ইসতিসকার নামাজ।
দু’দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। ক্রমাগত বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ।
তীব্র গরমে বরিশালের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল কম। তাপপ্রবাহের কারণেই ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠায়নি বলে জানিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
গাজীপুরেও স্কুল খোলার প্রথমদিনে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি কম থাকলেও ৭ দিনপর স্কুলে এসে খেলাধুলায় মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। গরমে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি বিবেচনায় কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে নাটোরে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। ছাতনী ইউনিয়নে চকআমহাটী খোলা আকাশের নিচে নামাজ আদায় শেষে বৃষ্টি চেয়ে মহান আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মানুষ।
তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জয়পুরহাটের জনজীবন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য ইসতিকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। পথচারীদের জন্য সুপেয় পানিসহ স্যালাইন ও লেবু মিশ্রিত পানির ব্যবস্থা পৌর কর্তৃপক্ষ।
তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে মাদারীপুরের শিবচরে ঐতিহ্যবাহী বাহাদুরপুর ময়দানেও বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করা হয়। অংশ নেন স্থানীয় শতশত মুসল্লি। এদিকে, হিট স্ট্রোকে মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে যশোরে আহসান হাবিব নামের এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি যশোর সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান শিক্ষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।