এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন
- আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
- / ১৬৫৪ বার পড়া হয়েছে
সব উদ্বেগ উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। বিকেলে মুক্ত নাবিকদের নিয়ে জাহাজ- এমভি জাহান মনি চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি জেটিতে নোঙর করে। প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বীরোচিত সংবর্ধনা দেয়া হয় ২৩ নাবিককে। জেটিতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন স্বজন ও সহকর্মীরা। টানা ৬৪ দিনের রুদ্ধশ্বাস সমুদ্রযাত্রা শেষে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা নাবিকদের কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হন স্বজনরা।
চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি জেটির চিত্র এটি। সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের প্রতীক্ষায় তাদের স্বজন, সহকর্মী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাকর্তারা।
বেলা ৪টা ১০ মিনিটে নাবিকদের বহনকারী জাহাজ এমভি জাহানমনি-থ্রি বন্দর চ্যানেলে প্রবেশ করে। ধীরে নোঙ্গর করতে থাকে জেটিতে। এ সময় ভেঙ্গে যায় স্বজনদের প্রতীক্ষার বাঁধ। আবেগঘন পরিবেশ তৈরী হয় বন্দরের জেটিতে।
একে একে নেমে আসেন মুক্তি পাওয়া নাবিকরা। বন্দর জেটিতে তাদের স্বাগত জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। ৬৪ দিনের রুদ্ধশ্বাস সমুদ্রযাত্রা শেষে দেশের মাটিতে পা দিয়ে আবেগে আপ্লুত হন তারা। বর্ণনা দেন জিম্মি দশার ভয়ংকর ৩৩ দিনের কথা। ফুটেজ-১
অপেক্ষাকৃত দ্রুত সময়ের মধ্যে নাবিক ও জাহাজটিকে মুক্ত করার উদ্যোগ নেয়ায় জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এমভি আব্দুল্লাহর ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদ।
এর আগে সোমবার সকালে আরব আমিরাতের বন্দর থেকে ৬০ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে এমভি আব্দুল্লাহ। বেশি পণ্য থাকায় জাহাজটি নোঙ্গোর করে কুতুবদিয়ায়। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করে ড্রাফট কমিয়ে চট্টগ্রামে আসতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। তাই নাবিকদের স্বজন তথা সারাদেশের মানুষের প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিকল্প জাহাজ নাবিকদের উদ্যোগ নেয় মালিক পক্ষ।
গেল ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আব্দুল্লাহ। ৩৩ দিন পর ১৪ এপ্রিল ভোরে মুক্তিপণের বিনিময়ে দস্যুদের কবল থেকে মুক্তিপায় জাহাজ ও নাবিকরা। মুক্তির একমাস পর দেশের মাটিতে পা রাখে তারা।