শেরপুরে জাদুর কলে ২৪ ঘন্টা মিলছে ভূগর্ভস্থ পানি
- আপডেট সময় : ১১:১৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
- / ১৬৮৮ বার পড়া হয়েছে
শেরপুরের পাহাড়ি ৪ গ্রামের মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে ‘জাদুর কলের’ পানি। স্থানীয়দের কাছে অটোকল নামে পরিচিত এটি। কোন মেশিন ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা বিরামহীন পানি মিলছে ভূগর্ভস্থ থেকে। তবে পানির অপচয় রোধে সংরক্ষণের চিন্তাভাবনা চলছে। তাছাড়া আবাদি জমির সেচের কাজে
জাদুর কলের সুষ্ঠু ব্যবহারে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা রাঙ্গাজান, বালিজুড়ি, খ্রিষ্টানপাড়া ও অফিসপাড়া গ্রাম। এ গ্রামের মানুষ সামান্য কিছু টাকা খরচ করে কোন জ্বালানি ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা অনবরত পানি পাচ্ছেন জাদুর কলের মাধ্যমে। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ এলাকার মানুষ এ পদ্ধতিতেই পানি ব্যবহার করে আসছেন।বিশুদ্ধ ও স্বচ্ছ শীতল পানি গ্রামগুলোর কয়েকশ পরিবারের নিত্যদিনের সাংসারিক কাজ ছাড়াও ব্যবহৃত হচ্ছে কৃষি কাজেও। সহজলভ্য এই পানি স্থানীয় শত শত কৃষক কাজে লাগাচ্ছেন ফসল উৎপাদনে। ফলে বছরে বাঁচছে প্রায় কয়েক কোটি টাকার সেচ খরচ। পাহাড়ি এলাকায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচে ৪০/৫০ ফুট গভীরে শুধুমাত্র পাইপ বসিয়ে কোনো যান্ত্রিক শক্তি ছাড়াই পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বছরজুড়ে যে পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানি অপচয় হয় তা রোধে অটোকলের পানি সংরক্ষণের পরিকল্পনা করছে কৃষি বিভাগ।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে জাদুর কলের পানির সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে আশপাশের অনাবাদি হাজার হাজার একর জমিতে বোরো-আমনসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করা সম্ভব।