জলবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলছে না চট্টগ্রাম বাসীর
- আপডেট সময় : ১১:২৯:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
- / ১৬০৫ বার পড়া হয়েছে
আসছে বর্ষায় চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সহনীয় রাখতে জলাবদ্ধতা প্রবণ ১১৩টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে কাজ চলছে। তবে প্রকল্পের বাইরে থাকা নালা নর্দমা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না করায় মানুষ প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে না বলে দাবি সেনাবাহিনীর। আর সিটি মেয়র বলছেন সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান প্রকল্পগুলো পুরোপুরি শেষ না হলে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে না নগরবাসী। এদিকে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায় হলেও সুফল না আসায় সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দুষছেন বিশ্লেষকরা।
গেল ৬ মে’র চিত্র এটি। মৌসুমের প্রথম মাত্র এক ঘন্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা।ফুটেজ-১
অথচ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে চলমান চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ খাতা কলমে শেষ হয়েছে ৭০ শতাংশের বেশি। ফুটেজ-২ এতে কিছু কিছু পয়েন্টে জলাবদ্ধতার স্থায়ীত্ব কিছুটা কমলেও দুর্ভোগের কবল থেকে মুক্তি পায়নি সাধারণ মানুষ। আর এর জন্য সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দায়ি করছেন বিশ্লেষকরা। ফুটেজ-৩
আর সিটি মেয়রের দাবি, প্রকল্পের সফলতা ব্যার্থতা নিয়ে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। কারণ সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান তিনটি আলাদা আলাদা প্রকল্প একসঙ্গে শেষ না হলে সুফল আসবে না। ফুটেজ-২
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পিডি জানান, কয়েকটি ভাগে ভাগ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন তারা। ফুটেজ-৩
৫৭ টি খালের মধ্যে ৩৬ টি খালকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প। এরমধ্যে ৬ টি খালের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। বাকি খালগুলোর কাজও চলছে জোরেসোরে। ফুটেজ-২
বড় এই প্রকল্পে কয়েকটি পয়েন্টে খাল সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহনের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু প্রকল্প শুরু হওয়ার ৭ বছরে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। প্রকল্পের কাজ ধীরগতি হওয়ার এটিও একটি কারণ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।