আইলার তান্ডবের ক্ষত ১৫ বছরেও মোছেনি খুলনার উপকুলে
- আপডেট সময় : ১০:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
- / ১৬৮৯ বার পড়া হয়েছে
প্রলয়ঙ্করী সুপার সাইক্লোন আইলার তান্ডবের ক্ষত ১৫ বছরেও মোছেনি খুলনার উপকুলীয় এলাকা।দূযোর্গের পর শুরু হওয়া পূর্নবাসন কাযর্ক্রমে কিছু মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে পারলেও এখনো বাঁধের উপর রয়ে গেছে অনেক পরিবার।ফিরতে পারিনি তাদের আসল বসতভিটায়। আবারো আইলার মতো জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কায় খুলনার উপকুলীয় এলাকার ২৫’লক্ষাধিক মানুষ। খুলনা থেকে রকিবুল ইসলাম মতি’র দুই পর্বের ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব আজ।
৫৫ বছরের আতিয়ার সানা সুন্দরবনের উপর জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।ভয়ংকরী সুপার সাইক্লোন আইলার তান্ডবে বসতভিটা হারিয়ে তার পরিবারের মাথাগোজার ঠাই হয়েছে সুতারখালি নদীর বাঁধের পাশে।এখন তারা জীবন যাপন করে নদীর জোয়ার ভাটায় মধ্য দিয়ে। শুধু আতিয়ার নয় তার মত উপকূলে এখনও হাজার হাজার মানুষ বসবাস করছে বেড়িবাঁধের পাশে।সুপার সাইক্লোন আইলার ভেঙে যায় দেড় লাখ ঘরবাড়ী-স্থাপনা।প্রান হারায় শত শত মানুষ ও গবাদি পশু।এ দূযোর্গের পর শুরু হয় পূর্নবাসন কাযর্ক্রম। কিন্তু এত বছরেও ফিরতে পারেনি তাদের বাপ দাদার ভিটায়।
তবে এদিকে আইলা ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন না হওয়ার পিছনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দোষারোপ করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি সদস্য বলছেন,বেড়িবাঁধের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে মানুষ।বড় কোন ঝড়,জলোচ্ছ্বাস হলে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের নিরাপদে আনার জন্য কাজ করছেন তারা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডেও এই কর্মকর্তা বলছেন,ঝড় উপকূলীয় অঞ্চলের উপজেলা গুলোতে বেশি আঘাত হানে তাই গুরুত্ব দিয়ে সেসব জায়গার মনিটরিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইলা দুর্গত এলাকার মানুষের নিরাপত্তার পাশাপাশি যে কোন দূযোর্গ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে খুলনার জেলা প্রশাসক।