১২:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রেমাল তাণ্ডবে অন্তত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
  • / ১৬৬৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুরো শক্তি নিয়ে উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট তছনছ হয়েছে, ভেঙে গেছে গাছ-পালা। ঘূর্ণিঝড় রিমাল তাণ্ডবে সাতজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকার ৪০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। কাজ করছে না মোবাইলের নেটওয়ার্ক। এছাড়াও পটুয়াখালীতে ৩ জন, বরিশালে ২ জন ভোলা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় একজন করে মারা গেছেন। সর্বেমোট অন্তত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার কয়রা উপজেলার ৩টি জায়গার ১৫০ মিটার ভেঙে বাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক চিংড়ির ঘের, ভেঙে গেছে কয়েকশ’ কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। রাতজুড়ে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামে গভীর রাত থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাত ও জোয়ারে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে নিচু এলাকাগুলোতে। পানির তোড়ে দেয়াল ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাহাড়ধসের আশংকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বরিশালে ৬ ফুট উঁচুতে প্রবাহিত হচ্ছে সব নদীর পানি। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কীর্তনখোলা ও মেঘনা নদীর পানি জোয়ারের সময় ৬ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হয়। যে কারণে এই নদী দুটির নিকটবর্তী এলাকা বেশ প্লাবিত হয়েছে। এর সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত পানি আরও বাড়িয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নদীরগুলোর কয়েকটি ১ থেকে দেড় মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পিরোজপুরেও অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

রিমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কলাপাড়া, খেপুপাড়া, রাঙ্গাবালি, বরগুনা, পাথরঘাটা, মনপুরা, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখানসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা। জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট, কোথাও কোথাও ৬ থেকে ৭ ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জরাজীর্ণ বাধ ভেঙে অন্তত অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী রয়েছে।রাত থেকেই জেলায় ১৫ লাখ মানুষ বিদুৎ বিছিন্ন হয়ে পরেছে।

বাগেরহাটের উপকূল জুড়ে প্রবল বেগে বৃষ্টির সাথে বাতাস বইছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সম্পূর্ন বাগেরহাট জেলা। আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর বিদ্যুৎকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়েছে।

ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে ৭ থেকে ৮ ফুট বেড়েছে। যা বিপদ সিমার ৬৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বাতাসের কারছে আঞ্চলিক মহাসড়কে পাশে থাকা গাছ উপড়ে পরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রেমাল তাণ্ডবে অন্তত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

পুরো শক্তি নিয়ে উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট তছনছ হয়েছে, ভেঙে গেছে গাছ-পালা। ঘূর্ণিঝড় রিমাল তাণ্ডবে সাতজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকার ৪০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। কাজ করছে না মোবাইলের নেটওয়ার্ক। এছাড়াও পটুয়াখালীতে ৩ জন, বরিশালে ২ জন ভোলা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় একজন করে মারা গেছেন। সর্বেমোট অন্তত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার কয়রা উপজেলার ৩টি জায়গার ১৫০ মিটার ভেঙে বাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক চিংড়ির ঘের, ভেঙে গেছে কয়েকশ’ কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। রাতজুড়ে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামে গভীর রাত থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাত ও জোয়ারে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে নিচু এলাকাগুলোতে। পানির তোড়ে দেয়াল ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাহাড়ধসের আশংকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বরিশালে ৬ ফুট উঁচুতে প্রবাহিত হচ্ছে সব নদীর পানি। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কীর্তনখোলা ও মেঘনা নদীর পানি জোয়ারের সময় ৬ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হয়। যে কারণে এই নদী দুটির নিকটবর্তী এলাকা বেশ প্লাবিত হয়েছে। এর সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত পানি আরও বাড়িয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নদীরগুলোর কয়েকটি ১ থেকে দেড় মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পিরোজপুরেও অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

রিমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কলাপাড়া, খেপুপাড়া, রাঙ্গাবালি, বরগুনা, পাথরঘাটা, মনপুরা, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখানসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা। জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট, কোথাও কোথাও ৬ থেকে ৭ ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জরাজীর্ণ বাধ ভেঙে অন্তত অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী রয়েছে।রাত থেকেই জেলায় ১৫ লাখ মানুষ বিদুৎ বিছিন্ন হয়ে পরেছে।

বাগেরহাটের উপকূল জুড়ে প্রবল বেগে বৃষ্টির সাথে বাতাস বইছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সম্পূর্ন বাগেরহাট জেলা। আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর বিদ্যুৎকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়েছে।

ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে ৭ থেকে ৮ ফুট বেড়েছে। যা বিপদ সিমার ৬৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বাতাসের কারছে আঞ্চলিক মহাসড়কে পাশে থাকা গাছ উপড়ে পরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।