৩৫ বছরেও নির্মিত হয়নি দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ
- আপডেট সময় : ০৬:০৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
- / ১৭১৪ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ৩৫ বছরেও নির্মিত হয়নি দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ । বেড়িবাঁধ নির্মাণের দুটি মেগাপ্রকল্পসহ বেশ কিছু প্রকল্প নেয়া হলেও এর বাস্তবায়ন কাজ চলছে ধীরগতিতে। ফলে ওই অঞ্চলে দুর্যোগের ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে,জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূণ বেড়িবাঁধের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আব্দুল গফুর গাজীর বয়স যখন ১৭ বছর, তখন তিনি দেখেছে তার বাপ-দাদার অঢেল জমি জমা। কিন্তু ৮৮ সালের ঝড়ে বাঁধ ভেঙে সর্বস্ব হারা হয়ে যান তার পরিবার।বাধ্য হয়ে এখন টংয়ের উপরে ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন তিনি।এমন বাস্তব জীবনের গল্প আছে দাকোপ উপজেলা সুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগীর ঝুলন্ত পাড়ার প্রতিটি পরিবারের।
১৯৭০ সালের পর থেকে ২০২০ সালের হিসেবে ,দেশে ১৩ টি ঝড়ে প্রাণহানি ঘটেছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৮শ ৪৫ জনের আর ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার ২৭ টি’র । ৯৭ সালের ঝড়ের সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ঘন্টায় ২৩২ কিলোমিটার।আর সর্বনিম্ন ২০১৫ সালের ঘূর্ণিঝড় কোমেনের বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৭৫ কিলোমিটার। (গ্রাফ হবে)
১৩ টি ঝড়ে মধ্যে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ৬টি ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশি।১৯৮৮ সালের বন্যায় সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেড়িবাঁধ।তার পর ঘূর্ণিঝড় আইলাতে খুলনা ও সাতক্ষীরার ৭১১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়।৭৬ কিলোমিটার বাঁধ পুরোপুরি এবং ৩৬২ কিলোমিটার বাঁধ আংশিকভাবে ধ্বসে পড়ে।খুলনা,সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট উপকূলে ২ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায় ৫১ কিলোমিটার জরাজীর্ণ ও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তারা বলছেন,উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অনেকটাই সংস্কার করা হয়েছে।
খুলনা প্রকৌশলী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক বলছেন,নেদারল্যান্ডের প্রযুক্তি এদেশের বেড়িবাঁধ নির্মাণের সঠিক পন্থা ছিল না।উপকূলীয় এলাকায় প্রয়োজন টিআরএম প্রযুক্তি।