এবারো লোকসানের মুখে চট্টগ্রামের মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ১১:০০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
- / ১৬৩৪ বার পড়া হয়েছে
জটিল হিসেবের মারপ্যাঁচে এবারো লোকসানের মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। লবণযুক্ত কিংবা লবণ ছাড়া পিস অথবা বর্গফুটের হিসেব নিয়ে গড়মিলে অভিযোগের আঙ্গুল আড়ৎ সিন্ডিকেটের দিকে। বরাবরের মতোই আড়ৎদারদের দাবি, সরকারের বেঁধে দেয়া দামের ফারাক বুঝতে না পেরে লোকসানে পড়েন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন মাদ্রাসা ও সামাজিক সংগঠনগুলো বাড়ি বাড়ি থেকে চামড়া সংগ্রহের পর লবন দেয়ার প্রচলন শুরু হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে না জাতীয় সম্পদ।
প্রতি বছরের মতো এবারো কোরবানীর ঈদের দিন বিকেলে মুরাদপুর থেকে আতুড়ার ডিপো পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে চামড়া নিয়ে ছিলো মৌসুমী ব্যবসায়ীদের হাঁকডাক। কেউ রাস্তার পাশে চামড়ার পসরা সাজিয়ে বসেন– কেউবা গাড়িতে চামড়া রেখেই ব্যস্ত দর-দামে। একদিনের এই মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রতিবার বর্গফুট হিসেবে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু এবার পিস হিসেবে দাম নির্ধারণ করলেও সেই দামে কোন আড়ৎদার কেনেনি চামড়া। তবে আড়তদাররা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেয়া দামের ফাঁক-ফোকর বুঝতে না পারায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এখানে আড়ৎদারদের করার কিছুই নেই। চামড়ার বাজারের অবস্থা যখন এমন তখন বিবিরহাট গরুর বাজারের মাঠের চিত্র সম্পুর্ণ আলাদা। পাড়া-মহল্লা থেকে নিজস্ব কর্মীদের দিয়ে চামড়া সংগ্রহ করে লবনজাত করছে গাউছিয়া কমিটি। সংগঠনটির দাবি, সিন্ডিকেটের কারসাজি বন্ধ করার পাশাপাশি জাতীয় সম্পদ রক্ষায় কাজ করছেন তারা।
এদিকে, ট্যানারী মালিকরা বলছেন, লবনের খরচ বাদ দিয়ে বর্গফুট হিসেবে চামড়া কেনা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের পক্ষে অসম্ভব। তাই দাম নির্ধারণ আরো সহজ না করলে ধারাবাহিক লোকসানে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বাজার ছাড়লে ভেঙ্গে পড়বে সাপ্লাই চেইন। এবারের কোরবানীর ঈদে চট্টগ্রাম আড়ৎদার সমিতি সাড়ে তিন লাখ ও গাউছিয়া কমিটি এক লাখ পিস চামড়া লবণজাত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।