০১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

‘রাসেলস ভাইপার নিয়ে যেসব তথ্য ছড়িয়েছে তার অধিকাংশই গুজব’

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:৩১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪
  • / ১৮৪৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে তার অধিকাংশই গুজব বলে দাবি করছেন সাপ গবেষকরা। আর এতে শুধু রাসেলস ভাইপারই নয় সব ধরনের সাপই হুমকির মুখে পড়েছে। যা পরিবেশের জন্য ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন তারা। আর চিকিৎসকরা বলছেন, চন্দ্রোবোড়া সাপের প্রতিষেধক দেশের সব সরকারী হাসপাতালে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে এই সাপে কামরালে ওঝার কাছে না গিয়ে দ্রুত হাসপাতালে আসার পরামর্শ তাদের।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেনম গবেষনা সেন্টারে ৪ শো সাপের মধ্যে রাসেল’স ভাইপার বা চন্দ্রবোরা সাপের সংখ্যা ৫০ টি‘র বেশি। অর্থাৎ সাপটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছিলো এই তথ্যটি পুরোটাই গুজব। এছাড়া মানুষ দেখলে তারা করে এসে কামরানো কিংবা অন্যান্য সাপের তুলনায় বংশ বিস্তার করে দ্রুত। এসব তথ্যের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ফুটেজ-১

শুধু রাসেলস ভাইপারই নয় এখানে আছে গোখরো, কাল কেউটে, দারাজ, শঙ্খচুড়াসহ অন্তত ১০ প্রজাতির বিষধর সাপ। গবেষকরা বলছেন, সাধারণত ইদুর, টিকটিকি জাতীয় কৃষি কজের জন্য হুমকি এমন পোকামাকর রাসেল’স ভাইপারের প্রধান খাদ্য। তাই কৃষিক্ষেত ও ছোটখাটো জলাশয়ের আশেপাশে থাকাটাই তাদের পছন্দ। পানিতে দ্রুত সাঁতরানোর সক্ষমতা থাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নতুন নতুন এলাকায় এই সাপের দেখা মেলে। তবে এবার এদের আনাগোনা অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিসংখ্যন বলছে, ২০২৩ সালে এক হাজার ৩৬৮ জন সাপে কাটা রোগী এসেছে হাসপাতালে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র দুই জনের। এন্টিভেনম প্রয়োগ করতে হয়েছে ৪৩ জনকে। বাকি এক হাজার ৮৮ জনই বিনা চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন। তাই সাপে কাটলেই আতঙ্কিত না হয়ে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ চিকিৎসকদের। বর্তমানে ভারতীয় একটি এন্টিভেনম প্রয়োগ করা হচ্ছে। যা রাসেল’স ভাইপার, গোখরাসহ চারটি বিষধর সাপের ক্ষেত্রে কাজ করছে। কিন্তু অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে শুরুতে প্রচলিত কবিরাজী পদ্ধতির প্রয়োগ করায় জটিলতা বাড়ছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘রাসেলস ভাইপার নিয়ে যেসব তথ্য ছড়িয়েছে তার অধিকাংশই গুজব’

আপডেট সময় : ১২:৩১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে তার অধিকাংশই গুজব বলে দাবি করছেন সাপ গবেষকরা। আর এতে শুধু রাসেলস ভাইপারই নয় সব ধরনের সাপই হুমকির মুখে পড়েছে। যা পরিবেশের জন্য ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন তারা। আর চিকিৎসকরা বলছেন, চন্দ্রোবোড়া সাপের প্রতিষেধক দেশের সব সরকারী হাসপাতালে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে এই সাপে কামরালে ওঝার কাছে না গিয়ে দ্রুত হাসপাতালে আসার পরামর্শ তাদের।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেনম গবেষনা সেন্টারে ৪ শো সাপের মধ্যে রাসেল’স ভাইপার বা চন্দ্রবোরা সাপের সংখ্যা ৫০ টি‘র বেশি। অর্থাৎ সাপটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছিলো এই তথ্যটি পুরোটাই গুজব। এছাড়া মানুষ দেখলে তারা করে এসে কামরানো কিংবা অন্যান্য সাপের তুলনায় বংশ বিস্তার করে দ্রুত। এসব তথ্যের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ফুটেজ-১

শুধু রাসেলস ভাইপারই নয় এখানে আছে গোখরো, কাল কেউটে, দারাজ, শঙ্খচুড়াসহ অন্তত ১০ প্রজাতির বিষধর সাপ। গবেষকরা বলছেন, সাধারণত ইদুর, টিকটিকি জাতীয় কৃষি কজের জন্য হুমকি এমন পোকামাকর রাসেল’স ভাইপারের প্রধান খাদ্য। তাই কৃষিক্ষেত ও ছোটখাটো জলাশয়ের আশেপাশে থাকাটাই তাদের পছন্দ। পানিতে দ্রুত সাঁতরানোর সক্ষমতা থাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নতুন নতুন এলাকায় এই সাপের দেখা মেলে। তবে এবার এদের আনাগোনা অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিসংখ্যন বলছে, ২০২৩ সালে এক হাজার ৩৬৮ জন সাপে কাটা রোগী এসেছে হাসপাতালে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র দুই জনের। এন্টিভেনম প্রয়োগ করতে হয়েছে ৪৩ জনকে। বাকি এক হাজার ৮৮ জনই বিনা চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন। তাই সাপে কাটলেই আতঙ্কিত না হয়ে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ চিকিৎসকদের। বর্তমানে ভারতীয় একটি এন্টিভেনম প্রয়োগ করা হচ্ছে। যা রাসেল’স ভাইপার, গোখরাসহ চারটি বিষধর সাপের ক্ষেত্রে কাজ করছে। কিন্তু অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে শুরুতে প্রচলিত কবিরাজী পদ্ধতির প্রয়োগ করায় জটিলতা বাড়ছে।