প্রথমবার পরীক্ষামূলক আঙ্গুর চাষ হচ্ছে শেরপুরের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায়
- আপডেট সময় : ০২:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
- / ১৬২৫ বার পড়া হয়েছে
প্রথমবার পরীক্ষামূলক আঙ্গুর চাষ হচ্ছে শেরপুরের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায়। উদ্যোক্তা আব্দুল জলিল মিয়া ভারত থেকে চারা সংগ্রহ করে নিজের জমিতে রোপন করেন। সব মিলিয়ে খরচ হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে বাগানে এসেছে কাঙ্খিত সুমিষ্ট ফল। তার আশা, বাগান থেকেই তিন লাখ টাকারও বেশি আঙ্গুর বিক্রি হবে। এদিকে, আঙ্গুর বাগান দেখে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙ্গুরের ছড়া। পরীক্ষামূলক আঙ্গুর চাষ করেছেন শেরপুর শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ি এলাকা মেঘাদল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল মিয়া।
তিনি জানান, ভারত ঘুরতে গিয়ে প্রথমে দুই জাতের ১০টি আঙ্গুর ফলের চারা নিয়ে আসেন। যার দাম প্রায় ১২০০ টাকা। পরে আরো দুই ধাপে ৪০ জাতের ৮০টি চারা নিজের ১৫ শতাংশ জমিতে রোপন করেন। সব মিলিয়ে খরচ হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। পরে বাগানে আসতে থাকে সুমিষ্ট ফল। যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তাতে বাগান থেকেই খরচ উঠে লাভ হবে দুই লাখ টাকার উপরে। জলিল মিয়ার আঙ্গুর বাগান দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপন করেছেন নিজের জমিতে। আঙ্গুর ফলের আবাদ ছড়িয়ে পড়লে দেশের আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে বলছেন স্থানীয়রা। এ ধরণের চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহ ও সহযোগিতার কথা জানায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চারা লাগানোর ১০মাস পর বাগানে আসে ফল। সফলতার হাতছানিতে বৃহৎ পরিসরে বাগান করার উদ্যোগ নিচ্ছেন আব্দুল জলিল।