প্রবল বন্যায় মোট ২৭ জনের মৃত্যু
- আপডেট সময় : ১০:৫৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪
- / ১৭১৩ বার পড়া হয়েছে
বন্যার পানি সামান্য কমলেও বাড়িঘর তলিয়ে থাকায় এখনো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন বানভাসী মানুষ। ডুবে আছে রাস্তা-ঘাট। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন অনেকে। সুপেয় পানি এবং খাদ্য সংকটে পড়েছেন বন্যাকবলিতরা। দুর্গম এলাকায় ত্রাণ সহায়তা খুবই কম। এদিকে, প্রবল বন্যায় আক্রান্ত দেশের ১১টি জেলার মধ্যে ৭টি জেলায় এ যাবৎ মোট ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরমধ্যে কুমিল্লায় ১০, ফেনীতে ১, চট্টগ্রামে ৫, খাগড়াছড়িতে ১, নোয়াখালীতে ৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক, লক্ষ্মীপুরে এক ও কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন।
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। যেখানে গলা সমান পানি ছিল, সেখানে এখন কোমর সমান পানি। তবে কমেনি ভোগান্তি। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ।
কুমিল্লায় গোমতির বাঁধ ভেঙ্গে ৬ষ্ঠ দিনেও পানি ঢুকছে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। জেলা প্রশাসনের হিসেবে জেলায় ১০ লাখ ২৬ হাজার মানুষ পানিবন্দী। ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছে ২২৫টি মেডিকেল টিম।
বন্যায় লক্ষ্মীপুরে পানিবন্দি প্রায় ৮ লাখ মানুষ। প্রায় ২৩ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। তবে অন্যরা কষ্ট করে হলেও নিজ নিজ বাড়িঘরেই রয়েছেন।অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। নোয়াখালী থেকে বন্যার পানি রহমতখালী খাল হয়ে লক্ষ্মীপুরে প্রবেশ করায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে আছে পানিতে। ডুবে আছে বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।