০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কুমিল্লায় সাবেক মন্ত্রীর শ্যালকের ‘আয়নাঘর’

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:২৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২০৭৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লায় আরেক আয়নাঘর বানিয়েছিল সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের শ্যালক মহাব্বত আলী। বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের কেউ তার মতের বিরুদ্ধে গেলে সেখানে বন্দি করে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন চালানো হতো। এই ঘর থেকে মধ্যরাতে ভেসে আসতো কান্নার শব্দ। এদিকে তাজুল ইসলাম মন্ত্রণালয় চালালেও লাকসাম মনোহরগঞ্জের নিয়ন্ত্রণ ছিল মহাব্বত আলীর হাতে।

কুমিল্লার লাকসামে ব্যাপক আলোচনায় সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামের শ্যালক মহাব্বত আলীর কথিত আয়না ঘরটি। এটি থানা ভবনের ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত। স্থানীয়দের দাবি, ব্যক্তিগত কার্যালয়ের অন্তরালে সেখানে ভয়াবহ একটি টর্চার সেল গড়ে তোলেন মহব্বত। দিনের পর দিন আটকে রেখে সেখানে নির্যাতন করা হতো। সরকার পতনের পর সামনে আসে কথিত এই আয়না ঘরের রোমহর্ষক কাহিনী। এদিকে, ওই টর্চার সেলে গেল ১৬ বছরে বিএনপি জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন অনেকে। লাকসাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহাব্বত আলী ছিলেন এলাকার অঘোষিত মহারাজ। বোনের জামাই সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের প্রভাবে তিনি হয়ে ওঠেন আরেক স্বৈরাচার। তাজুল ইসলাম মন্ত্রণালয় চালালেও লাকসাম মনোহরগঞ্জের নিয়ন্ত্রণ ছিল মহাব্বত আলীর হাতে। লাকসাম থানার বিপরীতে মহব্বতের এই কার্যালয়টি ছিল কথিত আয়নঘর। মাঝেমধ্যে গভীর রাতে মহাব্বত সেখানে আসতেন। আশপাশের লোকজন প্রায়ই সেখানে কান্নার আওয়াজ শুনতেন। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতেন না। সম্প্রতি সেই টর্চার সেলর সামনে ‘আয়নাঘর’ নাম দিয়ে ব্যানার টানিয়েছেন নির্যাতিতরা। এরই মধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অন্যর জায়গা দখল করে নির্মাণ করেন কথিত আয়নাঘরের ভবনটি। মহব্বত সব কিছুই করেছেন তাজুল ইসলামের নির্দেশে। তাই তাজুল ইসলাম ও মহব্বতদের কঠোর শাস্তির দাবী স্থানীয়দের। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই পালিয়ে যান মহব্বত আলী।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কুমিল্লায় সাবেক মন্ত্রীর শ্যালকের ‘আয়নাঘর’

আপডেট সময় : ১২:২৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুমিল্লায় আরেক আয়নাঘর বানিয়েছিল সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের শ্যালক মহাব্বত আলী। বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের কেউ তার মতের বিরুদ্ধে গেলে সেখানে বন্দি করে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন চালানো হতো। এই ঘর থেকে মধ্যরাতে ভেসে আসতো কান্নার শব্দ। এদিকে তাজুল ইসলাম মন্ত্রণালয় চালালেও লাকসাম মনোহরগঞ্জের নিয়ন্ত্রণ ছিল মহাব্বত আলীর হাতে।

কুমিল্লার লাকসামে ব্যাপক আলোচনায় সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামের শ্যালক মহাব্বত আলীর কথিত আয়না ঘরটি। এটি থানা ভবনের ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত। স্থানীয়দের দাবি, ব্যক্তিগত কার্যালয়ের অন্তরালে সেখানে ভয়াবহ একটি টর্চার সেল গড়ে তোলেন মহব্বত। দিনের পর দিন আটকে রেখে সেখানে নির্যাতন করা হতো। সরকার পতনের পর সামনে আসে কথিত এই আয়না ঘরের রোমহর্ষক কাহিনী। এদিকে, ওই টর্চার সেলে গেল ১৬ বছরে বিএনপি জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন অনেকে। লাকসাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহাব্বত আলী ছিলেন এলাকার অঘোষিত মহারাজ। বোনের জামাই সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের প্রভাবে তিনি হয়ে ওঠেন আরেক স্বৈরাচার। তাজুল ইসলাম মন্ত্রণালয় চালালেও লাকসাম মনোহরগঞ্জের নিয়ন্ত্রণ ছিল মহাব্বত আলীর হাতে। লাকসাম থানার বিপরীতে মহব্বতের এই কার্যালয়টি ছিল কথিত আয়নঘর। মাঝেমধ্যে গভীর রাতে মহাব্বত সেখানে আসতেন। আশপাশের লোকজন প্রায়ই সেখানে কান্নার আওয়াজ শুনতেন। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতেন না। সম্প্রতি সেই টর্চার সেলর সামনে ‘আয়নাঘর’ নাম দিয়ে ব্যানার টানিয়েছেন নির্যাতিতরা। এরই মধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অন্যর জায়গা দখল করে নির্মাণ করেন কথিত আয়নাঘরের ভবনটি। মহব্বত সব কিছুই করেছেন তাজুল ইসলামের নির্দেশে। তাই তাজুল ইসলাম ও মহব্বতদের কঠোর শাস্তির দাবী স্থানীয়দের। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই পালিয়ে যান মহব্বত আলী।