১০:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

অস্ত্র উদ্ধারে চিরুনী অভিযান শুরু করবে পুলিশ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৭৯২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী এমপিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নামে ইস্যুকরা দেড় শতাধিক অস্ত্র এখনো জমা পড়েনি। পুলিশ বলছে, নির্ধারিত সময়ের পর সব অস্ত্রই এখন অবৈধ হয়ে গেছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারে শিগগিরই চিরুনী অভিযান শুরু করবেন তারা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর ব্যবহারসহ গত ১৫ বছরে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে দ্রুত সময়ের মধ্যেএ সব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

গত ১৫ বছর ধরে সৈরশাসনের আমলে ৮৪২ টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। যার প্রায় সবগুলোই বাগিয়ে নেয় তৎকালীন শাসক দলের মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে পাতি নেতা ও সরকার সমর্থক লুটেরা ব্যবসায়ীরা। জুলাই বিপ্লবে ফ্যসিস্ট শাসনের অবসানের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গেল ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয় সরকার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ শতাধিক অস্ত্র জমা পড়েনি চট্টগ্রামে। এর মধ্যে রয়েছে সাবেক মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সীতাকুণ্ডের সাবেক এমপি এস.এম. আল মামুন, বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান, আবু রেজা নদভি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ শতাধিক মন্ত্রী এমপি ও ক্যাডার। সবশেষ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের ওপর দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এসময় একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার হতে দেখা যায়। কয়েকদিনের সহিংসতায় পথচারীসহ অন্তত ৭ শিক্ষার্থী নিহত হয়। বিশ্লেষকদের ধারনা এসব আন্দোলনে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হওয়ায় ধরা পড়ার ভয়ে অস্ত্র জমা দেয়নি মন্ত্রী এমপিরা। জেলা প্রশাসক বললেন, নির্ধারিত সময়ের পর যেসব অস্ত্র এখনো জমা পড়েনি সেগুলো কার্যত অবৈধ হয়ে গেছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দেন তিনি। লাইসেন্সকরা এসব অস্ত্রের পাশাপাশি ৫ আগস্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নগর ও জেলার অন্তত ১৬ টি থানা থেকেও বিপুল পরিমান অস্ত্র লুট হয়েছে। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারলে আইনশৃঙ্খলার জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরী হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অস্ত্র উদ্ধারে চিরুনী অভিযান শুরু করবে পুলিশ

আপডেট সময় : ১১:৪১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী এমপিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নামে ইস্যুকরা দেড় শতাধিক অস্ত্র এখনো জমা পড়েনি। পুলিশ বলছে, নির্ধারিত সময়ের পর সব অস্ত্রই এখন অবৈধ হয়ে গেছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারে শিগগিরই চিরুনী অভিযান শুরু করবেন তারা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর ব্যবহারসহ গত ১৫ বছরে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে দ্রুত সময়ের মধ্যেএ সব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

গত ১৫ বছর ধরে সৈরশাসনের আমলে ৮৪২ টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। যার প্রায় সবগুলোই বাগিয়ে নেয় তৎকালীন শাসক দলের মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে পাতি নেতা ও সরকার সমর্থক লুটেরা ব্যবসায়ীরা। জুলাই বিপ্লবে ফ্যসিস্ট শাসনের অবসানের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গেল ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয় সরকার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ শতাধিক অস্ত্র জমা পড়েনি চট্টগ্রামে। এর মধ্যে রয়েছে সাবেক মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সীতাকুণ্ডের সাবেক এমপি এস.এম. আল মামুন, বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান, আবু রেজা নদভি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরসহ শতাধিক মন্ত্রী এমপি ও ক্যাডার। সবশেষ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের ওপর দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এসময় একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার হতে দেখা যায়। কয়েকদিনের সহিংসতায় পথচারীসহ অন্তত ৭ শিক্ষার্থী নিহত হয়। বিশ্লেষকদের ধারনা এসব আন্দোলনে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হওয়ায় ধরা পড়ার ভয়ে অস্ত্র জমা দেয়নি মন্ত্রী এমপিরা। জেলা প্রশাসক বললেন, নির্ধারিত সময়ের পর যেসব অস্ত্র এখনো জমা পড়েনি সেগুলো কার্যত অবৈধ হয়ে গেছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দেন তিনি। লাইসেন্সকরা এসব অস্ত্রের পাশাপাশি ৫ আগস্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নগর ও জেলার অন্তত ১৬ টি থানা থেকেও বিপুল পরিমান অস্ত্র লুট হয়েছে। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারলে আইনশৃঙ্খলার জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরী হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।