সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের দুর্নীতি ও লুটপাটের খবরে তোলপাড়
- আপডেট সময় : ০৫:১৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১৮৭০ বার পড়া হয়েছে
পতিত স্বৈরাচার সরকারের লুটেরা মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত আলজাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেখে বিশ্বের সবাই স্তম্ভিত হলেও তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে এটি সাধারণ ঘটনা। কারণ সাবেক মন্ত্রী জাবেদের ১৬ বছরের শাসনামলে সীমাহীন লুটপাট দুর্নীতি আর অনিয়মের খতিয়ান ছিল এখানকার মানুষের মুখে মুখে। তাদের আশা বিদেশে পাচার করা রাষ্ট্রের এসব টাকা টাকা ফেরত এনে জনকল্যানে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হবে অন্তর্বর্তি সরকার।
টানা তিন বছরের অনুসন্ধান শেষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক ভুমী মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ৫ শতাধিক বাড়ি ও অঢেল সম্পদের হদিস পায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার অনুসন্ধানী দল। কদিন আগে প্রকাশ হওয়া এই প্রতিবেদনে তোলপাড় শুরু হয় দেশজুড়ে।
গণমাধ্যমের এমন খবরে দেশবাসী বিষ্মিত হলেও মোটেও অবাক হননি জাবেদের নির্বাচনী এলাকার মানুষ। কারণ টানা ১৬ বছর ধরে জাবেদের অনিয়ম, দুর্নীতি আর লুটপাট দেখতে দেখতে অভ্যস্ত তারা।
স্থানীয়দের দাবি, হুণ্ডি ব্যবসা, বেনামী লোন, কর ফাঁকির পাশাপাশি আনোয়ারাসহ দেশব্যাপী চলমান কথিত উন্নয় প্রকল্পের জমি অধিগ্রহনই ছিল সাবেক ভুমি মন্ত্রীর অঢেল সম্পদের অন্যতম উৎস। কথিত আছে জাবেদের মনোনীত প্রতিনিধির কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন না দিয়ে জমি অধিগ্রহণের চেক পেতেন না কেউ।
জাবেদের অবৈধ আয়ের হাতেখড়ি তার পিতা আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর হাত ধরে। (জিএফএক্স-১,২) পিতার প্রভাবে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতির পদ দখল করে আমদানী-রপ্তানী নিয়ন্ত্রন, নিজেদের দখল করা ব্যাংক থেকে বেনামী ঋণ গ্রহণ, হুন্ডি ব্যবসা পরিচালনা ও টাকা পাচারই ছিল তার প্রধান পেশা ও নেশা। পিতার মৃত্যুর পর বিনাভোটের এমপি ও পরে মন্ত্রী হয়ে ওঠেন বেপোরোয়া। এতে বিস্মিত বিশ্লেষকরা।
গেল সংসদ নির্বাচনের সময় সাবেক মন্ত্রী জাবেদের অবৈধভাবে টাকা পাচার ও বেহিসেবি সম্পদের তথ্য আংশিক প্রকাশ করে টিআইবি। কিন্তু তৎকালীন সরকার তা আমলে নেয়নি। কারন সরকার প্রধানের ক্যাশিয়ার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন জাবেদ।