আবারও তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০১:৫৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১৭২০ বার পড়া হয়েছে
ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপে রংপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে।ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোও। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও চিত্রে ডেস্ক প্রতিবেদন ।
ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নঞ্চল এলাকাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গেল মধ্যরাত থেকে ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯ টার পরে এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি।এদিকে, পানি নিয়ন্ত্রণে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টের ৪৪টি জলকপাট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কুড়িগ্রামের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে।এতে করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ধান, বাদাম ও মরিচক্ষেত তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সকাল ৯টায় এ তিন নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কাউনিয়া পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৫৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে বন্যার পানিতে নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, ইতিমধ্যে ফসলি জমি মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
নীলফামারীতে কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি। বর্তমানে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর তীরবর্তী যে চরগ্রাম গুলোতে পানি ঢুকে পড়েছিল, তা এখন নামতে শুরু করেছে।পানি বৃদ্ধির কারণে ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে দিয়ে পানির নিয়ন্ত্রণ করছে পাউবো কর্তৃপক্ষ।