দুর্নীতি দমনে কখনই সাহসী ছিলনা দুদক: ড. ইফতেখার
- আপডেট সময় : ০৭:০৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৫১৫ বার পড়া হয়েছে
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনোই দুর্নীতি দমনে সাহসী ভূমিকা রাখেনি দুদক। এমন মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। এসএ টিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে বলেন, রাজনৈতিক ঐক্যমত ও সদিচ্ছা ছাড়া দুদকের একার পক্ষে দুর্নীতির রাশ টেনে ধরা অসম্ভব। শীর্ষ পদে শূন্যতা থাকায় দুদকের কার্যক্রমে স্থবিরতা রয়েছে স্বীকার করেন ড. ইফতেখার বলেন, যোগ্য এবং দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে দুদককে ঢেলে সাজানোর কাজ চলমান।
দুর্নীতি সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। যার যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
অভিযোগ রয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।
তবে ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ১৩ আগস্ট থেকে বিগত সরকারে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর হয় দুদক।
সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিদিন গড়ে জমা পড়ছে আড়াইশো থেকে তিনশো অভিযোগ।
গেল ২৯ অক্টোবর চেয়ারম্যানসহ দুই কমিশনারের পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে কার্যত অভিভাবক শুন্য হয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।
স্থবিরতা দেখা দেয় দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রমে।
এরইমধ্যে দুদক সংস্কার কমিশন এবং নতুন চেয়ারম্যান ও কমিশনার বাছাইয়ে কাজ শুরু করেছে সার্চ কমিটি।
এমন বাস্তবতায় কথা হয় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনো দুর্নীতি দমনে সাহসী ভূমিকা রাখেনি দুদক।
নতুন কমিশন গঠনে চলমান সার্চ কমিটির কার্যক্রম প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আমলাতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে দুর্নীতির রাশ টেনে ধরা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
শক্তিশালি ও কার্যকরী দুদক পেতে আরও অপেক্ষার ইঙ্গিত দিয়ে ড. ইফতেখার বলেন, আগামীদিন অবশ্যই হবে সুন্দর।