যশোরে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৪টি পাটকল
- আপডেট সময় : ০১:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১৫৮৮ বার পড়া হয়েছে
কাঁচা পাটের অভাবে বন্ধ হতে চলেছে শতভাগ রপ্তানিমুখী যশোরের সিডল টেক্সটাইল মিল। জেলার অভয়নগরে অবস্থিত এ মিলের অর্ধেক ইউনিট ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাট সরবরাহ স্বাভাবিক না হলেও যে কোনো সময় মিলটি সম্পূর্ণ বন্ধের সাইরেন বাজতে পারে বলে আশংঙ্কা কর্মরতদের। অভিযোগ রয়েছে, যশোরাঞ্চলে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের কারণে পাট ক্রয় করতে না পেরে নওয়াপাড়া জুটমিল, কার্পেটিং মিলসহ কমপক্ষে ৪টি পাটকল এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।
পাটকলগুলোর প্রধান কাঁচামাল পাট সংরক্ষণের মৌসুম চলছে। কিন্তু সংরক্ষণতো দূরের কথা প্রতিদিনের চাহিদাকৃত পাট ক্রয়ও করতে পারছে না যশোরের সচল পাটকলগুলো। এতে উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে জেলার অভয়নগর উপজেলার মহাকালে অবস্থিত সিডল টেক্সটাইল মিলসহ চালু অন্যান্য পাটকল। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পাট জোগাড় করতে না পেরে ৪ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ২ হাজার শ্রমিক ছাটাই করা হয়েছে। অর্ধেক ইউনিট বন্ধ করে কোনো প্রকারে মিলটি সচল রাখা হয়েছে।
মিল কর্তৃপক্ষ ও পাট সরবরাহকারীদের অভিযোগ, যশোরাঞ্চলে পাটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক মুনাফা করতে একটি সংঘবদ্ধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। যারা পাট বাজার উঠতেই চাষীদের কাছ থেকে সব পাট কিনে গুদামজাত করে পরে ইচ্ছামত দাম হাকান। আর এ কারণে উচ্চ মূল্যে পাট কেনা মিল মালিকদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে-না।
সট : এ. কে.এম আজাদ, নির্বাহী পরিচালক, সিডল টেক্সটাইল লিমিটেড।
এদিকে, চাকরি হারানোর ভয়ে দিশেহারা মিল শ্রমিকরা। তারা বলছেন, কাজ হারালে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে তাদের। অবিলম্বে ন্যয্য মূল্যে পাট সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক, কোনো ব্যবসায়ী ১ হাজার মনের বেশি পাট ১ মাসের বেশি গুদাম জাত করতে পারবে না। কিন্তু যশোরের অনেক ব্যবসায়ী এ আদেশ অমান্য করে অসৎ উদ্দ্যেশে হাজার হাজার মন পাট গুদাম জাত করে রেখেছেন। এ সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে শুধু যশোর নয়, দেশের চলমান ২ শতাধিক পাটকল অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে-আশংঙ্কা মিল কর্তৃপক্ষের।