যশোর পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করতে, পদে পদে ভোগান্তি
- আপডেট সময় : ০৮:২৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯
- / ১৬০৯ বার পড়া হয়েছে
যশোর পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করতে গেলে, পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। ভুক্তভোগিরা বলছেন, দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট করলে কোনো ভোগান্তি নেই । দালাল না ধরলেই, দিনের পর দিন, এমনকি বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। আবেদনের চার বছর পর সম্প্রতি পাসপোর্ট পেয়েছেন যশোরের শফিকুল ইসলাম।
যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম ভারতে পিতার চিকিৎসা করাতে যাবার জন্য ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি পাসপোর্টের আবেদন করেন।একই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ জানানো হয় । নির্ধারিত দিনে পাসপোর্ট আনতে গেলে, তার হাতে পাসপোর্ট দেয়া হয়। কিন্তু তিনি যখন পাসপোর্ট নিয়ে কাউন্টার থেকে বেরিয়ে আসছিলেন, তখন আবার তার কাছ থেকে পাসপোর্টটি নিয়ে নেয়া হয়।সেসময় বলা হয়, ২১ ফেব্রুয়ারি এসে পাসপোর্ট নিতে হবে। ওই দিন এসে তিনি দেখেন অফিস বন্ধ। এরপর থেকে চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে শুধু তারিখ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু পাসপোর্ট দেয়া হয়নি।
২৮ সেপ্টেম্বর যশোরের স্থানীয় একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে অভিযোগ করেন, ঢাকায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিস, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও যশোরে জেলা প্রশাসকের দফতরে। অভিযোগের অনুলিপি পাঠানো হয় যশোর পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচলকের কাছেও।
যশোরে পাসপোর্ট করতে গেলে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। তবে দালালের মাধ্যমে গেলে কোন ভোগান্তি নাই।
জনভোগান্তির বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা। তিনি জানান. খোঁজ নিয়ে দেখেছি- শফিকুলের পাসপোর্টটি হারিয়ে গিয়েছিল।
২০১৬ সাল থেকে মাসে চারবার করে কমপক্ষে ১৪৪ বার পাসপোর্টের জন্য যশোর পাসপোর্ট অফিসে আসা যাওয়া করেন শফিকুল ও তাঁর বাবা। এতে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার টাকা।