এখনো স্বাভাবিক হয়নি চট্টগ্রাম বন্দর
- আপডেট সময় : ০১:০১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৭৭ বার পড়া হয়েছে
ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দুই দিন বন্ধ থাকার পর খাতা কলমে অপারেশন শুরু হলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি চট্টগ্রাম বন্দর। ১৮টি মাদার ভেসেলের স্থলে সকাল পর্যন্ত জেটিতে এসেছে ৮টি জাহাজ। বহি:নোঙ্গরেও পুরোদমে পণ্য ওঠানামা শুরু হয়নি। ডেলিভারির পরিমান কমেছে আশংকাজনকভাবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, সংকট কাটাতে দ্রুত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না করলে, দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে আমদানী রফতানি বাণিজ্যে।
ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায়, শুক্রবার সকাল থেকেই সবধরনের অপারেশন বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রাম বন্দরের। বহিনোঙ্গরে পণ্য ওঠা-নামা, জেটিতে খালাস কিংবা টার্মিনালের ডেলিভারিও বন্ধ রাখা হয়। দুই দিনেরও বেশী সময় ধরে একরকম স্থবিরতা নেমে আসে আমদানী-রফতানি বাণিজ্যে।
রোববার সকালে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে মহাবিপদ সংকেত প্রত্যাহার করে নিলে ফের চালু হয় বন্দর। কিন্তু আমদানী রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়নি। এই বাস্তবতায় সবপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, আমদানী রফতানিকারকরা ছাড়াও কাস্টমস, সিএন্ডএফ এজেন্ট, শিপিং এজেন্টসহ ১০/১২ টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে পরিচালিত হয় বন্দরের অপারেশন। দুর্যোগ মোকাবিলায় সবপক্ষকে সক্রিয় করতে না পারলে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে।
অতীতের পরিসংখ্যন বলছে, বছরের যে কোন সময় বন্দরের কার্যক্রম একদিন বন্ধ থাকলে পরবর্তিতে তা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ দিন। এবার ঘুর্নিঝড় বুলবুলের কারণে তিনদিনেও স্বাভাবিক হয়নি চট্টগ্রাম বন্দর। এই বাস্তবতায় পণ্য খালাসে দীর্ঘসুত্রিতার আশংকা করছে বিজিএমইএ। দুই দিন বন্ধ থাকায় বন্দরের জলসীমায় জাহাজ জটের সৃষ্টি হয়েছে।