চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে ভবন ধসে নিহত সাত
- আপডেট সময় : ০২:৩৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণের পর ভবনের দেয়াল ধসে নারী ও শিশুসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত আরো ১৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, আহতদের মধ্যে আন্তত ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক। প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, সকাল পৌনে নয়টার দিকে হঠাৎ করেই এই বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। আর ফায়ার সার্ভিস বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএর পক্ষ থেকে আলাদা তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
সকাল ১০ টার আগেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে স্বজনহারা মানুষের আহাজারিতে।
স্বজনরা কেউ অফিসে যাবার সময়, কেউবা ঘুম থেকে উঠে চায়ের দোকানে চা খেতে এসে, এমনকি নিজের ঘরে ঘুমিয়ে থেকেই গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণের কবলে পড়ে নিহত হয়েছেন।
হতাহতদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের বর্ণনা দিলেন এভাবেই।
পাথরঘাটা এলাকার একটি গলি পথের ধারে ৫ তলা বিশিষ্ট বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ভবনের একাংশ রাস্তার ওপর ধসে পড়ে চাপা পড়ে বহু মানুষ। স্থানীয়রাসহ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধসে পড়া ভবনের নিচ থেকে দু’জন নারী, একজন শিশু ও ৪ জন পুরুষের মরদেহসহ আহত অবস্থায় অন্তত ১৭জনকে উদ্ধার করে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধ্যানে তদন্ত চলছে। তবে ভবনের নিচ দিয়ে যাওয়া গ্যাস লাইনের লিকেজই বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, নিহত সবাই দেয়াল ধসে মারা গেছে। আহতদের মধ্যে দগ্ধ দু’জনসহ ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
নিহতদের মধ্যে সন্ধ্যা রানী ওই ভবনের বাসিন্দা ছিলেন। ধসে পড়া ভবনের পাশের চায়ের দোকানে চা খেতে এসে নিহত হন রং মিস্ত্রি নুরুল ইসলাম। আর স্কুলে যাবার পথে দেয়াল চাপা পড়ে নিহত হন পটিয়ার মেহের আটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এ্যানী বড়ুয়া।