শুধু চট্টগ্রাম আর কক্সবাজারের গুদামে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিকটন লবণের মজুদ রয়েছে
- আপডেট সময় : ০৮:০২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
শুধু চট্টগ্রাম আর কক্সবাজারের গুদামে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিকটন লবণের মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে সারা দেশের অন্তত তিন মাসের লবণের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এছাড়া কৃষকের মাঠে আরো কয়েক লাখ টন অপরিশোধিত লবন পড়ে আছে। চলতি মাসের শেষে এই লবন মিলে এলে আগামী দেড় বছরেও লবনের সংকট হবার আশংকা নেই বলে জানিয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের লবন ব্যবসায়ীরা। আর চাষিরা বলছেন লবন বিক্রি করে খরচই তুলতে পারছেন না তারা।
দেশের সবচেয়ে বড় লবন মিল এলাকা চট্টগ্রামের মাঝিরঘাটে ট্রলার বোঝায় অপরিশোধিত লবন আনছেন চাষিরা। আর মিলগুলোতে চলছে লবন পরিশোধনের ধুম। কেউ আয়োডিন মেশাচ্ছে কেউবা প্যাকেজিংয়ে ব্যস্ত। কোথাও সংকটের ছিটে ফোটাও নেই। বরং কম দাম নিয়ে হতাশ চাষি ও মিলাররা।
অথচ মঙ্গলবার দুপুর থেকেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে বাজারে লবন নেই। মুহূর্তেই দাম বেড়ে যায় খুচরা বাজারে। যাতে হতবাক লবন মিল মালিকরা। ভোক্তাদের সংগঠন ক্যাবের দাবি , ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্টের নামে খাবার লবন আমদানী করতেই কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা হয়েছে। ফুটেজ-১
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সকালেই ব্যবসায়ী ও মিলারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন। পাইকার ও খুচরা বাজারে দাম নির্ধারণ করে দেয়াসহ গুজব সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। সকালে মাঝিরঘাটে ৮৮ কেজির এক ঝুড়ি অপরিশোধিত লবন ৫২০ থেকে সাড়ে ৫ শো টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর পরিশোধনের পর ২৫ কেজির এক কার্টুন লবণ পাইকারীতে বিক্রি হয়েছে দুইশো ২০ থেকে আড়াই শো টাকায়।