শত শত একর জমি অবৈধভাবে দখল করেছে রেলেরই কর্মকর্তা কর্মচারীরা
- আপডেট সময় : ১০:২৭:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের শত শত একর জমি অবৈধভাবে দখল করেছে রেলেরই কর্মকর্তা কর্মচারীরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নামমাত্র মুল্যে লিজ নিলেও সেখানেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ভু-সম্পত্তি বিভাগের বিরুদ্ধে। অবৈধ দখলে থাকা সম্পত্তি উদ্ধারে কাজ চলছে দাবি করে নিজেদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করছে রেলওয়ে। তবে টিআইবি বলছে, ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করলেই থলের বেড়াল বেরিয়ে আসবে।
টাইগারপাস রেলওয়ে কলোনীর চিত্র এটি। রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসনের জন্য নির্মিত ভবনের বাইরে ফাঁকা জমিতে শত শত টিনশেড ঘর তোলা হয়েছে। এসব ঘরে বাস করে নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ। থাকার জন্য রেলের কর্মকর্তাদের নিয়মিত টাকা দিতে হয় জানালেন তারা।
সরকারি জমি দখল করে ঘর তোলার পক্ষে যুক্তি দিলেন রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বজনরা। এতো ছোট খাটো দখল। মতিঝর্ণা এলাকা, ফয়েজ লেকে কনকর্ডের পার্ক নির্মাণসহ সীতাকুণ্ডের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকার শত শত একর জমি প্রভাবশালীদের দখলে। এদের কেউ কেউ নিয়ম মেনে একশনা বন্দোবস্ত নিলেও, ঘটেছে শর্তভঙ্গ। আর এসব দেখেও না দেখার অভিযোগ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভুসম্পত্তি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করলেন তিনি।
দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান টিআইবি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন বলছে, বছরের পর বছর ধরে একই পদে থাকা ভুসম্পত্তি বিভাগের সবকর্মকর্তাকে একযোগে বদলী করাসহ তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা না নিলে সরকারি সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষন কঠিন হবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের হিসেবে ৫২০ একর জমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকদফায় উচ্ছেদ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র ৮৭ একর। তবে উদ্ধার হওয়া জমি ফের দখল হয়েছে কিনা সে ব্যপারে তথ্য নেই কারো কাছে।