ফের অস্থির হয়ে উঠেছে ডলারের বাজার
- আপডেট সময় : ১০:৩৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৫১ বার পড়া হয়েছে
ফের অস্থির হয়ে উঠেছে ডলারের বাজার। সরকারিভাবে ডলারের দাম ৮৪ টাকা থেকে পৌনে ৮৫ বেধে দেয়া হলেও বেসরকারী পর্যায়ে তা ৮৭ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে। এতে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। একই সঙ্গে বৈধ পথে আসা রেমিটেন্সে ধস নেমেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টাকার অবমুল্যায়ন চান রফতানিকারকরা। তবে ভিন্ন কথা বলছেন আমদানিকারকরা। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেসরকারী খাতকে প্রধান্য দিয়ে অর্থনীতিকে ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে।
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যংক নির্ধারিত প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ছিলো ৮৪ টাকা ৭১ পয়সা। রাষ্ট্রয়াত্ব কয়েকটি ব্যাংক এই দাম অনুসরন করলেও, বেশীরভাগ বেসরকারী ব্যাংক ডলার কেনা-বেচা করেছে ৮৬ থেকে ৮৭ টাকায়। আর মানি এক্সেচেঞ্জে এই দাম ছিলো আরো বেশী। কয়েক মাসের চিত্র এমনই।
পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারসহ আশপাশের দেশগুলো সম্প্রতি তাদের মুদ্রার অবমুল্যায়ন করায় অস্থির দেশের ডলার বাজার। এতে রফতানি বাণিজ্যে ধস নামার সঙ্গে সঙ্গে রেমিটেন্স হ্রাস পেয়েছে। একই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের আশংকা তৈরী হয়েছে। এখনো অনেক ক্ষেত্রেই আমদানি পণ্যের ওপর নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে। তাই মুদ্রার অবমুল্যায়নের চেয়ে বাজার ব্যবস্থাপনায় নজরদারী বাড়ানো জরুরী বলে মনে করেন আমদানীকারকরা।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খাতা কলমে দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বাস্তবতা চিত্র আলাদা। তাই সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আমদানি রফতানি বাণিজ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকেই। ডলারের বাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রন না থাকায়, বেসরকারী ব্যাংকগুলো ভিন্ন ভিন্ন দামে কেনা বেচা করছে। এতে বৈদেশিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাবের সঙ্গে সঙ্গে দেশের ভেতরের কোম্পানিকে অসম প্রতিযোগীতা মোকাবিলা করতে হচ্ছে।