প্রকাশিত রাজাকারদের তালিকায় এসেছে খোদ মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সংগঠকদের নাম
- আপডেট সময় : ০৭:২৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারদের তালিকায় এসেছে খোদ মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সংগঠকদের নাম। বাদ যায় নি পাকসেনাদের হাতে দুই শহীদের বাবাও। এতে চটেছেন রাজশাহীর শহীদ পরিবারের স্বজনরা। ক্ষোভ জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারাও। দ্রুত এ তালিকা সংশোধনের দাবি তুলেছেন তারা।
কোলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময়ই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে পরিচয় হয় রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের। দুজনেই থাকতেন বেকার হোস্টেলে। তখন থেকেই গভীর ঘনিষ্ঠতা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনারা মিনি ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলকে। মুক্তিকামী মানুষকে এখানে হত্যার পর মাটিচাপা দেয়া হতো বধ্যভুমিতে।এই বাড়ি থেকেই আব্দুস সালামের দুই ছেলেসহ পাঁচজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে হানাদার বাহিনী।
দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু রাজশাহীতে যতবারই এসেছিলেন, থাকতেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের এই বাড়িতেই। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মোড়ানো সেই বাড়িটি এখনো আছে আগের মতোই। আব্দুস সালামও মারা গেছেন ২০০৬সালে। অথচ সরকারী তালিকায় রাজাকার হিসেবে তার নাম দেখে হতবাক স্বজনরা।
কেবল অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামই নন, বর্তমানে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রোসিকিউটর ও ভাষা সৈনিক অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুর্শিদাবাদের পানি পিয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের ইনচার্জ অ্যাডভোকেট মহসিনেরও নাম আছে রাজাকারের তালিকায়।
এই তালিকা দ্রুত সংশোধন করে প্রকৃত রাজাকারদের নাম অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মহান স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর প্রথম ধাপে রোববার প্রকাশ করা হয় ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা।