যশোরের ঝিকরগাছায় ভায়না নদীর এখন আর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
- আপডেট সময় : ১১:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৫১ বার পড়া হয়েছে
যশোরের ঝিকরগাছায় ভায়না নদীর এখন আর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কাগজপত্রে নদীকে ধানী জমি দেখিয়ে, সরকারের কাছ থেকে খাস জমি হিসেবে ইজারা নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এলাকাবাসি প্রশাসনের কাছে ধর্ণা দিয়েও উন্মুক্ত করতে পারছে না নদীটিকে। বরং দখলদারদের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা। এমনকি জীবননাশের হুমকিও দিচ্ছে দখলদাররা। জেলা প্রশাসক বলছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ভায়না নদী। ১৯২৭ ও ৬২ সালের রেকর্ডে এটি নদী উল্লেখ থাকলেও, ১৯৯০ সাল থেকে হয়ে গেছে ধানী জমি। আর ‘৮৬ সাল থেকে শুরু হয় নদী দখল প্রক্রিয়া। এলাকার সাবেক মেম্বর ও তার জামাই গোপনে করেছেন এ জালিয়াতির কাজ।
গ্রামবাসীর প্রতিবাদের মুখে, দখলদাররা নিজেরা ভোগ করতে না পেরে, উপজেলার বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামে নদীটি মাছের ঘের হিসেবে লিজ দেয়। এরপর থেকেই নদীকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে পারেন না নদীর পাড়ের মানুষ। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার শিকার হন ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার তিন ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষ।
ভায়না নদী একদিকে গিয়ে মিশেছে যশোরের শার্শা উপজেলার বেতনা ও অপরদিকে চৌগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদে। কিন্ত বাধ দেয়ায় নদী খন্ড করে ফেলার কারণে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
রাধানগর গ্রামবাসী নদীকে ধানী জমি বানিয়ে দখলের বিষয়ে মানববন্ধন করাসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার হয়নি। উল্টো দখলদারদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আনেকে।
জেলা প্রশাসক বলছেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। সকারর চলতি বছর ভায়না নদীর পানি নিস্কাশর ও জলাবদ্ধতার দূরীকরণে ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রাধানগর খাল পুন: খনন করেছে।