আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব আরও সঙ্কুচিত হয়েছে
- আপডেট সময় : ১০:৩৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় কাউন্সিলের মধ্যদিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব আরও সঙ্কুচিত হয়েছে। এতে মানসিকভাবে দমে গেছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। প্রকাশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভও প্রকাশ করছেন অনেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জনপ্রিয় নেতারা ঠাঁই না পাওয়ায়, চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে দলটির সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও কার্যক্রম।
স্বাধীনতার আগে ও পরে উত্তরাঞ্চলের নেতারা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু গত তিন যুগে তা ধীরে ধীরে কমে এসেছে। রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন বঙ্গবন্ধু েশেখ মুজিবুর রহমান। এর দীর্ঘ সময় পর ২০০২ সালে নওগাঁর আবদুল জলিল হন সাধারণ সম্পাদক।
তবে এবারের কমিটিতে সিরাজগঞ্জ থেকে মোহাম্মদ নাসিমের প্রেসিডিয়াম পদটি অক্ষুণ্ন থাকলেও সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ হারিয়েছেন দিনাজপুরের খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তবে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে টিকে গেছেন জয়পুরহাটের আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। িএকই জেলা থেকে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদে স্থান পেয়েছেন ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং সদস্য পদে পাবনার নূরুল ইসলাম ঠাণ্ডু। রাজশাহী থেকে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে সরিয়ে সদস্য পদে আনা হয়েছে আকতার জাহানকে। কমিটির এমন চেহারায় হতাশ নেতারা।
যদিও কমিটির বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারণীদের বাইরে কোনো বক্তব্য থাকা উচিত নয় বলেও মনে করে অনেকেই। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার থেকে দলকে আলাদা করতে গিয়ে জনপ্রিয় নেতাদের কমিটি হতে বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে নেতৃত্ব দুর্বল হওয়ায় এই অঞ্চলে সাংগঠনিকভাবে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে দলটি।