৬৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চীন থেকে আনা ডেমু ট্রেনগুলোই এখন গলার কাটা

- আপডেট সময় : ০৩:১২:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০
- / ১৫৪৯ বার পড়া হয়েছে
৬৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চীন থেকে আনা ডেমু ট্রেনগুলোই এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের। ২০ সেট ডেমুর মধ্যে ১৩ সেটই এখন মেরামতের আশায় ডকইয়ার্ডে পড়ে আছে। বাকিগুলোও চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। মাত্র ৬ বছরের মাথায় ট্রেনগুলোর বেহাল দশায় বিব্রত রেল কর্মকর্তারাও। আর নাগরিক প্রতিনিধিরা বলছেন, পরিকল্পনা আর সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই শীত প্রধান দেশের ট্রেনগুলো বাংলাদেশে আনায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
২০১৩ সালে সবচেয়ে আধুনিক সংযোজন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রেলওয়ের বহরে যুক্ত হয় সাদা রংয়ের ৬টি বগি বিশিষ্ট তিন কামরার ডেমু ট্রেন। কিন্তু ৬ বছর যেতে না যেতেই একে একে অচল হয়ে পড়ছে শীত প্রধান দেশে চলাচল করা ডেমুগুলো। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি রুটে ডেমু ট্রেণের চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
নতুন এই ট্রেন সংযোজনের শুরুতে আশাবাদী হলেও ক’বছর যেতে না যেতেই হতাশ হয়ে পরেছেন ডেমুর যাত্রীরা। সাধারণত একটি ট্রেনের ইঞ্জিনের আয়ুকাল ধরা হয় ৩০ বছর আর বগির ২৬ বছর। নিয়মিত মেনটেনেন্স করা হলে তা চলে আরো বেশ ক’বছর। কিন্তু মাত্র ৬ বছরেই অচল হতে বসেছে ডেমুট্রেণগুলো। বিষয়টি স্বীকার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, মেরামতের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে প্রতিনিয়ত।
গেল ৬ বছরে যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে ডেমু থেকে রেলওয়ের আয় হয়েছে ২০ কোটি টাকার কম। আর এই সময়ে ট্রেণগুলো রক্ষণাবেক্ষনে খরচ হয়েছে ২৭ কোটি টাকার বেশি।
ডেমু মেরামতের মতো প্রকৌশলী, অবকাঠামো বা যন্ত্রাংশের কোনটাই বাংলাদেশে না থাকলেও কোনরকম সম্ভাব্যতা যাচায় ছাড়াই নতুন প্রযুক্তির এই ট্রেন আনার উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলছে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন।
প্রথম পর্যায়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম-লাকসাম, চট্টগ্রাম-নাজিরহাটসহ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ৭টি আর পশ্চিমাঞ্চলের ৩টি রুটে ডেমু চলাচল করলেও এখন প্রায় অর্ধেক রুটেই স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে রেলওয়ে।