থমকে দাঁড়িয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও আউটার রিং রোড কাম বেড়িবাঁধ প্রকল্প

- আপডেট সময় : ১০:৩৮:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০
- / ১৫৬৯ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও আউটার রিং রোড কাম বেরিবাধ প্রকল্প থমকে দাড়িয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের আপত্তির কারণে। যদিও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ বলছে, সমস্যার দ্রুত সমাধান করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে সচেষ্টা তারা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিডিএর গাফিলতি আর অদুরদর্শিতার কারণেই বেহাল অবস্থায় পড়েছে মেগা প্রকল্পগুলো।
কাজ শুরু হবার এক বছরের মধ্যেই অনেক দুর এগিয়েছে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মান কাজ। কর্ণফূলী ইপিজেড থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকার প্লারের কাজ শেষ। গার্ডার আর স্লাব বসালেই দৃশ্যমান হবে ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়াল সড়ক। কিন্তু এই পর্যায়ে এসে বাধ সেধেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার প্রশ্নে বন্দর সংলগ্ন আড়াই কিলোমিটার এলাকার ডিজাইন পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর এতেই থমকে গেছে প্রকল্পটি।
একই অবস্থা কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত রিংরোড কাম বেরীবাধ প্রকল্পের। ২০ শতাংশ কাজ শেষ হবার পর আপত্তি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্পটির ভবিষ্যত এখন অনিশ্চিত। আর এরজন্য সমন্ময়হীনতাকে দুষছেন নগরবিদরা। নিজেদের দায় অস্বীকার করে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আপত্তিকে অনাকাঙ্খিত বলছে সিডিএ। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার দাবি তাদের।
তবে টিআইবি বলছে, অসৎ উদ্দেশ্যে তরিঘরি করে প্রকল্প পাশ করাতে গিয়ে সম্ভ্যাব্য জটিলতাগুলো আমলে নেয়নি সিডিএ। এতে প্রকল্প ব্যয় ও সময় বৃদ্ধিসহ জনদুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হবে। লালখান বাজারের আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সামনে থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সস্ভ্যাব্য নির্মাণ ব্যয় ৩ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। আর কর্ণফূলীর তীর ঘেষে আউটার রিংরোড প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আপত্তির মুখে প্রকল্পগুলোর ব্যয় বৃদ্ধির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। গ্রাফিক্স