চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিল্প জোনের জন্য নির্ধারিত সরকারী খাস জমিকে নিয়ে বিভ্রান্তী ছড়াচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল
- আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০
- / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিল্প জোনের জন্য নির্ধারিত সরকারী খাস জমিকে বন বিভাগের জমি হিসেবে প্রচার করে বিভ্রান্তী ছড়ানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এতে থমকে গেছে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নির্মান কাজ। সরকারী জমি বন্দোবস্ত পাওয়া উদ্যোক্তারা বলছেন, আশপাশে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতায় পড়েছেন তারা। আর সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, বন বিভাগের কাছে জমির কাগজপত্র চেয়ে একাধিকবার নোটিশ পাঠালেও তার উত্তর পাওয়া যায়নি।
সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর মৌজার সাগর পারের এই পরিত্যাক্ত খাস জমিতে একটি শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড গড়ে তোলার শর্তে বন্দোবস্ত পেয়েছে বিবিসি স্টীল নামের একটি কোম্পানী। অফিস নির্মান, যন্ত্রাংশের আমদানী, রাস্তা তৈরীসহ অর্ধেক কাজ এগোনোর পর জমিটি বন বিভাগের দাবি করে আদালতে মামলা করে স্থানীয় একটি এনজিও।
অথচ একই মৌজায় পাশের জমিতে আরো তিনটি শিপ ইয়ার্ড গড়ে উঠেছে অনেক আগে। এই বাস্তবতায় শিল্প সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্হ হওয়ার পাশাপাশি বিপুল পরিমান মানুষের কর্মসংস্থানও গেছে।
বর্ষাকালে ভরা জোয়ারে ডুবে থাকা যেই জমিকে বন বিভাগের বলে দাবি করা হচ্ছে সেখানে বনবিভাগের কোন কর্মকর্তা কর্মচারিকে কখনো দেখেনি স্থানীয় বাসিন্দারা। বরং শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় হতাশ তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, রেকর্ড অনুযায়ী খাস খতিয়ানের এই জমির মালিক জেলা প্রশাসক। মৌখিকভাবে জায়গাটি বন বিভাগের বলা হলেও কাগজপত্রে এমন কোন প্রমাণ নেই।
২০১১ সালে ফৌজদারহাটের উত্তর ছলিমপুর থেকে উত্তর সোনাইছড়ি পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকার সাগরের পরিত্যাক্ত বেলাভূমীকে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প জোন হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। এরপর থেকেই এই এলাকায় গড়ে ওঠে দেড়শোটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। প্রায় ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানসম্পন্ন শিল্পটি থেকে বছরে রাজস্ব আসে কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা।