বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর
- আপডেট সময় : ০৫:৫৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৭০ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। রাত ১২টা ১মিনিটে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করে কারা কর্তৃপক্ষ। এতে জাতি আরেকবার কলঙ্কমুক্ত হয়েছে বলে সন্তোষ জানান কারা মহাপরিদর্শক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা।এর মধ্যদিয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগারে প্রথম ফাঁসি কার্যকর হলো। খুনি মাজেদের গ্রামের বাড়ি ভোলায় স্থানীয়দের বিরোধিতায় তার দাফন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাও শ্বশুরবাড়িতে করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট গভীর রাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে অতর্কিত হামলা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল বিদ্রোহী সেনাসদস্য।
ইতিহাসের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয় তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ।
ন্যাক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডের ৪৫ বছর আর মামলার রায়ের ২২ বছর পর মঙ্গলবার ভোর রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বরখাস্তকৃত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে।
সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শনিবার রাত ১২ টা ০১ মিনিটে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করে হয়।
কারা মহাপরিদর্শক, কারা উপ পরিদর্শক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিভিল সার্জনের উপস্থিতিতেই জল্লাদ মো. শাহজাহানের দল ফাঁসি কার্যকর করে!। কারা মহাপরিদর্শক বলেন, মাজেদের ফাঁসি বকার্কর্ হওয়ায় জাতি আরেকবার কলঙ্কমুক্ত হলো।
মাজেদের সুরতহাল হলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের কথা জানান তিনি
রাত সাড়ে বারোটার দিকে মাজেদের মরদেহ গ্রহণ করতে কারাফটকে উপস্থিত হন স্ত্রী ডা. সালেহা বেগমসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য।
খুনি মাজেদের গ্রামের বাড়ি ভোলায় স্থানীয়দের বিরোধিতায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে শ্বশুরবাড়িতে তার দাফন করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকা জেলা ও দায়জজ আদালত মাজেদের গ্রেফতারি পরয়ানা জারি করে সেদিনেই মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে করা আবেদন রাষ্ট্রপতি তা নাকচ করে দেন। বৃহ:পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারে পরিবারের সদস্যরা মাজেদের সাথে সাক্ষাত করেন।
এর আগে এই মামলায় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ৫ আসামির রায় কার্যকর করা হয়। এখনো কর্নেল রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী, নুর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেউদ্দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন।