করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন জেলায় চলছে লকডাউন
- আপডেট সময় : ০৭:২২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৬৩ বার পড়া হয়েছে
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গাজীপুর, গাইবান্ধা, হবিগঞ্জ, ঝালকাঠি ও ঠাকুরগাওসহ বিভিন্ন জেলায় চলছে লকডাউন। এতে করে পুলিশ প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গাজীপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার রাতে জেলা প্রশাসক গাজীপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। বিজ্ঞপ্তিতে প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণের ঝুকি মোকাবিলায় এবং জরুরি সুরক্ষার প্রয়োজনে ১১ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়।
গাইবান্ধায় লকডাউনের পর সড়কের মোড়ে-মোড়ে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। খাদ্যপণ্য ও জরুরী সেবা পরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
করোনায় একজনের মৃত্যুর পর হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ আশপাশের এলাকা লকডাউন করা করেছে। এছাড়াও জেলার প্রবেশদ্বারে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। মানুষকে বাড়িতে নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দিচ্ছে পুলিশ, রেব ও সেনা সদস্যরা।
একই পরিবারের তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ঝালকাঠির গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের বিন্নাপাড়া গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় সাধারণ ছুটিতে গণপরিবহন বন্ধসহ ঝালকাঠিতে চলছে অঘোষিত লকডাউন।
একই দিনে তিনজনের করোনা শনাক্তের পরই ঠাকুরগাঁওকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রাতে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তির জারি করেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে লকডাউন ঘোষণার পর জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সেই সাথে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে তৎপরতা বাড়িয়েছে সেনা ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মুন্সীগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদারের জারি করা গণ-বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সড়ক কিংবা নৌপথে অন্য কোনও জেলা থেকে কেউ আসা-যাওয়া করতে পারবে না।
করোনা মোকাবেলায় ফরিদপুরে চলছে অঘোষিত লকডাউন। সরকারীভাবে জেলাকে এখনো লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও ২৬ মার্চ থেকে ফরিদপুরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।